bizarre

গ্রাহকদের সঙ্গে সঙ্গম করে তবেই দান করেন শুক্রাণু, ‘পরিষেবা’ নিতে চাইলে মানতে হয় শর্ত! তরুণের কাণ্ডে হইচই

সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে শুক্রাণুদাতা হিসাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এক তরুণ। শুধুমাত্র যাতায়াতের খরচটুকু বহন করতে হয় গ্রাহককে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৪৮
A sperm donor in Japan who helps women get pregnant by sleeping with them

—প্রতীকী ছবি।

সন্তানগ্রহণে ইচ্ছুক অথচ সন্তান ধারণ করতে অক্ষম। এমন দম্পতি বা সমকামী দম্পতিদের আশার আলো দেখাচ্ছেন এক তরুণ। আবার বহু তরুণী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে সন্তানসুখ পেতে চান। তাঁদের দিকেও ‘সাহায্য’-এর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই তরুণ। এই তরুণ এক শুক্রাণুদাতা। অন্য দাতাদের তুলনায় তাঁর দানের বিষয়টি ভিন্ন। তিনি যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে শুক্রাণু দান করেন। পুরাকালে নিয়োগ প্রথার মতো আধুনিক যুগেও বেনামে এই তরুণ সন্তান ধারণে ইচ্ছুক তরুণী বা মহিলাদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অন্তত সাত জন মহিলা তাঁর শুক্রাণু নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে শুক্রাণুদাতা হিসাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সেখানে তাঁর নাম হাজিম। জাপানের ওসাকার বাসিন্দা হাজিম তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর থেকে প্রথম শুক্রাণুদানের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সেই বন্ধু তাঁকে স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করার অনুরোধ করেন। কারণ হাজিমের বন্ধু বন্ধ্যত্বের শিকার। বন্ধুর অনুরোধে প্রথমে হকচকিয়ে যান তিনি। পরে অনেক ভেবেচিন্তে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন হাজিম। তাঁর শুক্রাণুর সাহায্যে বন্ধুর স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন। তাঁদের পরিবারের সকলকে সুখী দেখে এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাজিম।

হাজিমে বিনামূল্যে তাঁর পরিষেবা প্রদান করেন। শুধুমাত্র যাতায়াতের খরচটুকু বহন করতে হয় গ্রাহককে। তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, তাঁর শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য কোনও চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না। এমনকি, তিনি কোনও দিনই পিতৃত্বের দাবি করবেন না। কোনও আর্থিক দায়িত্ব নিতেও নারাজ তিনি। এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি অনুরোধ পেয়েছেন হাজিম এবং তিনি সফল ভাবে সাত জন মহিলাকে অন্তঃসত্ত্বা হতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের চারটি সন্তান ইতিমধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছে। হাজিম ভেবেছিলেন, বন্ধ্যত্বের সমস্যা আছে এমন দম্পতিরাই তাঁর কাছে পরিষেবা নিতে আসবে। তার বদলে বেশির ভাগ গ্রাহকই সমকামী দম্পতি ও অবিবাহিত মহিলা।

হাজিমের ঘটনা সমাজমাধ্যমে চাউর হতেই তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তরুণের এই পরিষেবার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও জাপানে ব্যক্তিগত শুক্রাণু দান বা এর অনলাইন প্রচার নিষিদ্ধ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন