viral video

প্রকৃতির শোভা ক্যামেরাবন্দি করতেই চক্ষু চড়কগাছ, ঘাসের আড়ালে সন্তান নিয়ে বিশ্রাম বনের রানির! ভাইরাল ভিডিয়োয় বিতর্ক

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি মাঠে আরামে পা ছড়িয়ে বসে আছেন। তাঁর সামনে সবুজ খেত। ক্যামেরাটি ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ স্থির হয়ে যায় এক জায়গায়। ক্যামেরা জ়ুম করার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক হতবাক হয়ে যান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৬
man sitting on field capture lion and five subs sitting

ছবি: সংগৃহীত।

মাঠের মধ্যে পা ছড়িয়ে দিব্যি ফোনের ক্যামেরায় প্রাকৃতিক দৃশ্য বন্দি করছিলেন এক ব্যক্তি। ক্যামেরায় ধরা পড়ছিল ওই ব্যক্তির দুটি পা-সমেত সামনের দিগন্তবিস্তৃত খেত। ক্যামেরাটি জ়ুম করতেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড় দর্শকের। উঁচু ঘাসের আড়ালে বসে আছে বনের রানি ও তার পরিবার। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ভাইরাল এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি মাঠে আরামে পা ছড়িয়ে বসে আছেন। তাঁর সামনে সবুজ খেত। ক্যামেরাটি ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ স্থির হয়ে যায় এক জায়গায়। ক্যামেরা জ়ুম করার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক হতবাক হয়ে যান। কারণ সেখানে কোনও গরু বা কুকুর নেই। ঘাসের আড়ালে গা ডুবিয়ে বসে আছে একটি সিংহী ও তার পাঁচ শাবক। ভিডিয়োটি গুজরাতের ভুভাতিম্বির অঞ্চলে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্লিপটি দেখে মনে হচ্ছে সিংহী ও তাঁর সন্তানেরা ক্রমাগত চিত্রগ্রাহককে স্থির দৃষ্টিতে লক্ষ করছে। আর এখানেই ভিডিয়োটি সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকেরা।

ইনস্টাগ্রামের ‘সিধ্‌ধু_বন্‌না০০০৭’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর ৬০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ লাইক জমা পড়েছে তাতে। ৭ হাজার নেটাগরিক তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভিডিয়োয়। এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এক জন ক্যামেরাম্যান কখনও মরে না, তাই আপনি বেঁচে আছেন।’’ অন্য এক জনের মতে ভিডিয়োটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। তা না হলে মানুষ দেখতে পেয়ে সিংহীটি শাবকদের রক্ষা করার জন্য আক্রমণ করতে পারত। তৃতীয় নেটাগরিক লিখেছেন, ভিডিয়ো আসল হলে ওই ব্যক্তি সিংহীর সামনে বসে এত নির্ভীক ভাবে ভিডিয়োটি তৈরি করার সাহস পেতেন না। বন্য পশুকে দেখে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসতেন।

Advertisement
আরও পড়ুন