viral video

প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর শখ, ঝাড়া হাত-পা হতে মেয়েকে ‘চিরদিনের জন্য হারালেন’ মা! ভিডিয়োর দাবি ঘিরে বিতর্ক

বিশ্বভ্রমণের জন্য সাত বছরের মেয়ের অভিভাবকত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলেন এক তরুণী। তাতে কোনও আক্ষেপও নেই তাঁর বলে ভিডিয়োয় দাবি করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫০
woman explained put daughter for adoption

ছবি: সংগৃহীত।

প্রেমিকের সঙ্গে বিশ্ব ঘুরে দেখার শখ। সেই শখ পূরণ করার জন্য অভাবনীয় সিদ্ধান্ত নিলেন এক তরুণী। প্রেমিকের সঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরে দেখার জন্য নিজের সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিতে দু’বার চিন্তা করেননি তিনি। তাঁর সাত বছরের মেয়ের অভিভাবকত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছেন বলে একটি ভিডিয়োয় দাবি করেছেন এক সন্তানের মা ওই তরুণী। এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও দুঃখ নেই তাঁর। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। ভিডিয়োটি ছ়ড়িয়ে পড়তেই অনলাইনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তরুণী। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া সেই ভি়ডিয়োয় তরুণী দাবি করেছেন তাঁর সাত বছরের শিশুকন্যাকে তিনি শেষ বারের মতো স্কুলে ছাড়তে গিয়েছিলেন। স্কুল শেষ হওয়ার পর তাকে আনতে যাবে নতুন বাবা-মা। কারণ তিনি মেয়েকে দত্তক পিতা-মাতার হাতে তুলে দিয়েছেন। ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আজ সেই দিন, আমি আমার মেয়েকে সারা জীবনের জন্য ছেড়ে চলে এলাম। আমি স্বীকার করছি এই ঘটনায় এতটুকু দুঃখিত নই। আমি সত্যিই পরোয়া করি না। আমি আমার বাচ্চার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।’’ তরুণী জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। বিশ্বভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়তে চান তিনি। সারা জীবন তিনি এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করেছিলেন। প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব করছেন তিনি। সন্তান জন্মের পর তাঁকে দত্তক দেওয়ার কথা ভাবলেও সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁর মনে হয়েছিল এক জন মা হিসাবে সন্তানকে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। পরে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আলোচনা করে শেষমেশ সন্তানকে ছেড়ে থাকাই মনস্থ করেন।

তরুণীর এই ভিডিয়োটি ‘ডি়জোইয়োইয়ো’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। নেটাগরিকেরা তরুণীর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। ক্ষোভপ্রকাশ করে এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনার মেয়ে হয়তো এখন বুঝতে পারবে না, কিন্তু সে আরও ভাল থাকবে। আমি আশা করি তার নতুন বাবা-মা তাকে প্রচুর ভালবাসা, মনোযোগ এবং স্নেহ দেবেন।”

Advertisement
আরও পড়ুন