Puri bizarre incident

আধার কার্ডের জন্য সৎকারে দেরি, নিরাপত্তারক্ষীর জন্য জীবন্ত পুড়ে মরার হাত থেকে বাঁচলেন ‘মৃত’ বৃদ্ধা!

অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা পি লক্ষ্মী নামে ওই মহিলা গঞ্জাম জেলায় তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শরীর অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁকে নিঃশ্বাস নিতে না দেখায় বাড়ির লোকজন মৃত বলে ধরে নেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৪১
woman was found alive minutes before her last rites

—প্রতীকী ছবি।

জামাইয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘মারা’ গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। ৮৬ বছর বয়সি বৃদ্ধা হঠাৎ করেই নড়াচড়া বন্ধ করে দেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল একটি হাসপাতালে। গত সোমবার সকালে তিনি চোখ খুলছিলেন না। হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দাহ করার কয়েক মিনিট আগে অল্প নড়াচড়া করতে শুরু করেন ‘মৃত’ বৃদ্ধা। এক নিরাপত্তারক্ষী লক্ষ করেন ওই মহিলা বেঁচে রয়েছেন। পুরীর স্বর্গদ্বারের ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা পি লক্ষ্মী নামে ওই মহিলা গঞ্জাম জেলায় তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শরীর অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁকে নিঃশ্বাস নিতে না দেখায় বাড়ির লোকজন মৃত বলে ধরে নেন। এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বৃদ্ধার দেহ সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা হয় পুরীর স্বর্গদ্বারে। পরিবার এবং পুরোহিত যখন দাহের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এক জন নিরাপত্তারক্ষীর নজর লক্ষ্মীর উপর পড়ে। তিনি চমকে ওঠেন। বৃদ্ধার দেহে সামান্য নড়াচড়া লক্ষ করেন তিনি। ডেকে আনা হয় পরিবারের সদস্যদের। লক্ষ্মীকে পুরী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তিনি বেঁচে আছেন এবং জরুরি চিকিৎসা শুরু করা হয়।

স্বর্গদ্বার শ্মশানের ব্যবস্থাপক ব্রজ কিশোর সাহু বলেন, মৃতদেহ দাহ করার জন্য মৃত ব্যক্তি, সৎকারের জন্য আবেদনকারীর আধার কার্ড এবং মৃত্যু শংসাপত্র বাধ্যতামূলক। বৃদ্ধার পরিবার মৃত্যুর শংসাপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে বৃদ্ধার সৎকার আটকে ছিল। তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শংসাপত্র জোগাড় করে আনতে বলা হয়। এই সময়ের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীর নজর পড়ায় বেঁচে যান ওই বৃদ্ধা। লক্ষ্মীর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, হাসপাতালে লক্ষ্মী চোখ খুলছিলেন না এবং শ্বাস নেওয়ার কোনও চিহ্নই ছিল না। তাই তাঁরা ভেবেছিলেন বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধা মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন