—প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিক্ষানবিশ হিসাবে একটি সংস্থায় চাকরি শুরু করেছিলেন তরুণী। জানুয়ারি মাস থেকে এক দিনও অতিরিক্ত ছুটি নেননি তিনি। এমনকি, কাজের গুণগত মান নিয়ে অফিসের সকলেই প্রশংসা করেন তরুণীর। কয়েক দিন আগে তাঁর ভাইঝির জন্ম হয়। তবে গুরুতর সমস্যা দেখা দেওয়ায় সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আপৎকালীন এই কঠিন পরিস্থিতিতে বসের কাছে হঠাৎ ছুটির আবেদন জানান তিনি। কিন্তু সব জানার পরেও তরুণীকে অফিসে আসার অনুরোধ করেন তাঁর ঊর্ধ্বতন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় তরুণী তাঁর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে চ্যাটের স্ক্রিনশট (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক তরুণী তাঁর কর্মজীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। নিজের নাম প্রকাশ না করে তরুণী তাঁর বসের সঙ্গে চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন।
ঊর্ধ্বতনকে মেসেজ করে তরুণী লিখেছেন, ‘‘আমি আপনার ফোন ধরতে পারিনি বলে দুঃখিত। আসলে, আমাদের সন্তানকে (ভাইঝি) নিকু (নিওন্যাটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট)—তে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমি এখনও হাসপাতালে রয়েছি। আগামী কাল আমি অফিসে যেতে পারব না।’’ তরুণীর মেসেজ পড়ার পর উত্তরে তাঁর বস্ লেখেন, ‘‘আচ্ছা। আমায় জানানোর জন্য ধন্যবাদ। তবুও যদি সময় বার করতে পারো তা হলে অবশ্যই অফিসে আসার চেষ্টা কোরো।’’
In today’s episode of how a manager can f*ck up your mental health when you are already in stress!
byu/Practical_Regret_ inIndianWorkplace
বসের উত্তর দেখে রেগে আগুন হয়ে যান তরুণী। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিক্ষানবিশ হিসাবে চাকরি শুরু করেন তিনি। তার পর এক দিনও ছুটি নেননি তরুণী। তাঁর কাজেরও প্রশংসা করেন ঊর্ধ্বতনেরা। তরুণীর দাবি, কয়েক দিন আগে তাঁর দিদা মারা গিয়েছেন। শনিবার তাঁর ভাইঝি জন্মেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম হয়েছে বলে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তার।
তাই তরুণীর সন্তানসম ভাইঝিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সে কারণে এক দিন ছুটি চেয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তরুণী সব কিছু তাঁর বস্কে জানানোর পরেও তাঁকে সুযোগ পেলে অফিসে আসার অনুরোধ করেন ঊর্ধ্বতন। তরুণী ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘এত দিন ধরে ভাল কাজ করছি, একটা দিনও ছুটি নিইনি। তার এই প্রতিদান পেলাম! আমি আর এই সংস্থায় চাকরি করব না। অন্য জায়গায় চাকরির সন্ধান করব।’’
তরুণীর আরও দাবি, তাঁর বস্ এক জন নারী হয়েও এমন অনুরোধ করেছেন। তরুণীর পরিস্থিতি জেনে সহমর্মী হয়ে এক জন নেটাগরিক লেখেন, ‘‘ঊর্ধ্বতনদের কাছে অফিসের আগে কিছুই নেই। তোমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও অফিসে যেতে হবে।’’