Bizarre

স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছা করছে না! কারণ জানতে চেয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ মহিলা, প্রকাশ্যে এল ভয়ঙ্কর সত্য

ব্রিটেনের ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম লিয়ান জোন্স। স্বামী অ্যাডামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি সেই সম্পর্কের গতি বদলায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ০৯:২২
British woman lost interest to get intimate with partner, get to know shocking fact after going to doctor

ছবি: এআই।

কয়েক দিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছা করছিল না। স্বামীকে বার বার ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। কয়েক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল ভয়ঙ্কর সত্য! কিন্তু কি সেই সত্য? ব্রিটেনের ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম লিয়ান জোন্স। স্বামী অ্যাডামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি সেই সম্পর্কের গতি বদলায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধীরে ধীরে অ্যাডামের প্রতি আকর্ষণ হারাতে শুরু করেছিলেন লিয়ান। কিছুতেই স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছা করছিল না তাঁর। এর পরেই পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। কয়েক দিন পরেই জীবন বদলে দেওয়ার মতো কথা জানতে পারেন তিনি।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ দম্পতির মধ্যে হঠাৎ ঘনিষ্ঠতার অভাব লিয়ান এবং অ্যাডাম—দু’জনেরই উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। স্ত্রী কেন তাঁর আবেদনে সাড়া দিচ্ছিলেন না, তা বুঝতে পারছিলেন না অ্যাডাম। লিয়ানও ঠাহর করতে পারছিলেন না যে কেন স্বামীর প্রতি যাবতীয় টান কমে গিয়েছে তাঁর। লিয়ানের কথায়, ‘‘আমি নিজেকে অতিরিক্ত রোম্যান্টিক মনে করতাম। কিন্তু একদিন সব কিছু বদলে গেল। আমার ক্লান্ত লাগতে শুরু করে। শরীরে কোনও উত্তেজনা ছিল না। অ্যাডাম ভাবছিল যে আমি আর তাকে ভালবাসি না।’’

এর পরেই সম্পর্ক ঠিক করতে মরিয়া হয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন দম্পতি। লিয়ান চিকিৎসককে জানান, কামাসক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করতে শুরু করেছেন তিনি। শ্রবণশক্তিও কমেছে। সমস্ত শুনে লিয়ানের শারীরিক কিছু পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন ওই চিকিৎসক। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসক লিয়ানকে জানান, তিনি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (এমএস) এবং ফাংশনাল নিউরোলজিক্যাল ডিজ়অর্ডার (এফএনডি) নামে দু’টি স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত। এমএস এমন একটি রোগ, যা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। অন্য দিকে, এফএনডি মস্তিষ্ক এবং শরীরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাহত করে।

চিকিৎসক লিয়ানকে জানান, ওই দুই স্নায়বিক রোগের কারণেই যাবতীয় সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে। ভেঙে পড়েন দম্পতি। সাংবাদমাধ্যমে লিয়ান বলেন, ‘‘আমার মস্তিষ্ক এবং শরীরের মধ্যে সংযোগ ভেঙে যাচ্ছিল। উত্তেজনা এবং স্পর্শের অনুভূতির জন্য এই সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। আর সেই কারণেই স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা তৈরি হয়েছে আমার।’’

তবে স্ত্রীর রোগের কথা শুনে তাঁর জীবন থেকে পিছু হটেননি অ্যাডাম। লিয়ানের পাশে শক্ত খুঁটির মতো দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জানা গিয়েছে, বর্তমানে লিয়ানের চিকিৎসা চলছে। লিয়ান এবং অ্যাডামের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। লিয়ানের সুস্থতা কামনা করেছেন নেটাগরিকেরা। দম্পতিকে সাহসও জুগিয়েছেন অনেকে।

Advertisement
আরও পড়ুন