Bizarre Incident

পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘর ছেড়েছে ছেলে, পুত্রের প্রেমিকাকে ১০টি চড় মারার জন্য ৮১ হাজারের পুরস্কার ঘোষণা ব্যবসায়ীর!

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইল্যান্ডের চুমফোন প্রদেশের ওই বিত্তশালী ব্যবসায়ীর নাম আর্নন রোডথং। চুমফোন প্রদেশের বৃহত্তম ডুরিয়ান বাগান এবং গুদামের মালিক তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৯
Businessman from Thailand announces reward for slapping son’s girlfriend

ছেলের প্রেমিকাকে চড় মারার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা ব্যবসায়ী। ছবি: সংগৃহীত।

ছেলে বিবাহিত। তার পরেও পরকীয়ায় জড়িয়েছে এক তরুণীর সঙ্গে। ছেলের সেই প্রেমিকাকে খুঁজে কমপক্ষে ১০ বার চড় মারতে পারলে ৩০ হাজার ভাট (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮১ হাজার টাকা) পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তাইল্যান্ডের এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর সেই ঘোষণা ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ড জুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। হইচই পড়েছে নেটমাধ্যমেও।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইল্যান্ডের চুমফোন প্রদেশের ওই বিত্তশালী ব্যবসায়ীর নাম আর্নন রোডথং। চুমফোন প্রদেশের বৃহত্তম বাগান ডুরিয়ান এবং গুদামের মালিক তিনি। ৬৫ বছর বয়সি আর্ননের অভিযোগ, ওন নামে এক মহিলার জন্য নিজের স্ত্রী এবং সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছে তাঁর পুত্র চাই। তিনি দাবি করেছেন, ওন তাঁর সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তখনই তরুণী তাঁর এক নাতির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। পরে আবার ছেলের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান। ফলে ছেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। কষ্ট পাচ্ছে পুত্রবধূ এবং নাতি। আর সে কারণেই ওনকে চড় মারার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন আর্নন।

সম্প্রতি পুত্রবধূর জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন আর্নন। ওই পোস্টে লেখা, ‘‘ল্যাং সুয়ান জেলার যে কেউ আমার ছেলের প্রেমিকাকে চড় মারলে তাঁকে আমি ৩০,০০০ ভাট দেব। তাঁকে কমপক্ষে ১০ বার চড় মারতে হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে, আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবেন।’’

তাইল্যান্ডে ঘুষি-চড়-লাথি মারার জন্য দু’বছরের কারাদণ্ড অথবা ৪০ হাজার ভাট জরিমানা অথবা উভয় শাস্তিই হতে পারে। কেউ যদি ওনকে চড় মারার জন্য সেই আইনি গেরোয় পড়েন, তা হলে তিনি সেই মামলার খরচ বহন করার জন্য রাজি বলেও জানিয়েছেন আর্নন। ব্যবসায়ী লিখেছেন, ‘‘ছেলের প্রেমিকাকে চড় মারার কারণে মামলা হলে, সেই মামলার খরচ এবং জরিমানাও বহন করতে ইচ্ছুক আমি। ওই মহিলার সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক যত দিন না শেষ হচ্ছে, তত দিন এই পুরস্কার বৈধ থাকবে। আমি আমার নির্দোষ পুত্রবধূকে রক্ষা করতে এবং তার জন্য ন্যায় চেয়ে এই পোস্টটি করেছি।’’

আর্ননের পোস্টটি সমাজমাধ্যমে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা প্রচারের অভিযোগ তুলেছেন নেটাগরিকেরা। সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হন বৃদ্ধ ব্যবসায়ী। তবে আর্নন জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক তিনি আর রাখবেন না। প্রয়োজনে ছেলেকে ত্যাজ্য করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন