Bizarre Incident

ঘর গোছানোর সময় হাতে এল মৃত বাবার ৬২ বছরের পুরনো পাশবই, তার পরেই জ্যাকপট! মিলল ১০ কোটি

চিলির বাসিন্দা এক্সকুইয়েল হিনোজোসা। সম্প্রতি ঘর পরিষ্কার করার সময় বেশ কিছু পুরনো কাগজ খুঁজে পান তিনি। তার মধ্যেই ছিল তাঁর মৃত বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পুরনো পাশবই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪২
Man from Chile found father’s 62 year old passbook and becomes millionaire

ছবি: সংগৃহীত।

ঘর গোছানোর সময় হাতে এসেছিল বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পুরনো পাশবই। ফেলে দেবেন বলেও ভেবেছিলেন। তবে শেষমেশ আর ফেলেননি। আর সেই সিদ্ধান্তই বদলে দিল তাঁর জীবন। ৬২ বছরের পুরনো পাশবইয়ের কারণে রাতারাতি কোটিপতি হলেন এক ব্যক্তি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি ঘটেছে চিলির এক মাঝবয়সি ব্যক্তির সঙ্গে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মাঝবয়সি ওই ব্যক্তির নাম এক্সকুইয়েল হিনোজোসা। সম্প্রতি ঘর পরিষ্কার করার সময় বেশ কিছু পুরনো কাগজ খুঁজে পান তিনি। তার মধ্যেই ছিল তাঁর মৃত বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পুরনো পাশবই। বাকি কাগজ ফেলে দিলেও ৬২ বছরর পুরনো পাশবইটি যত্ন করে রেখে দেন এক্সকুইয়েল। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মনে হয়েছিল, পাশবইটি কোনও কাজে লাগবে না। পরে সেই পাশবই খতিয়ে দেখে চমকে যান তিনি।

এক্সকুইয়েল দেখেন, তাঁর বাবা ১৯৬০-এর দশকে ব্যাঙ্কে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.৪ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন। আর ব্যাঙ্কে জমা সেই টাকার বর্তমান মূল্য সুদ-সহ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটিরও বেশি টাকায়। এর পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন এক্সকুইয়েল। পরে আরও খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাঁর বাবা টাকাটি জমাচ্ছিলেন একটি বাড়ি কিনবেন বলে। কিন্ত সে বিষয়ে কখনও কাউকে কিছু বলেননি। ১০ বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে ব্যাঙ্কে জমা রাখা টাকার বিষয়টি অজানাই থেকে গিয়েছিল এত দিন। এর পর পাশবইটি এক্সকুইয়েলের হাতে আসে।

পুরনো পাশবইয়ের মধ্যে ‘স্টেট গ্যারান্টি’ শব্দ দু’টি নজরে পড়ে এক্সকুইয়েলের। এর অর্থ হল, যদি ব্যাঙ্ক টাকা দিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে সেই টাকা ফেরত দেবে সরকার। এক্সকুইয়েল যখন ব্যাঙ্কে ওই টাকা চাইতে যান, তখন প্রথমে তাঁকে ওই টাকা দিতে রাজি হননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এর পর সরকারের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু সরকারও রাজি না হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেন তিনি। অবশেষে সরকারকে সুদ-সহ এক্সকুইয়েলকে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, সরকার তাঁকে ১২ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১০ কোটি টাকারও বেশি) ফেরত দিতে রাজি হয়। এর ফলে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন