Bizarre Affair

পরকীয়া করছেন স্ত্রী, জানতে পেরে গরু, কেটলি আর নগদের বিনিময়ে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন বৌকে!

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার তোলাকি জনজাতির বাসিন্দা ওই যুবক সম্প্রতি স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। কিন্তু তার পরেও মেজাজ হারাননি তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫২
Man from Indonesia does shocking deal with wife’s lover

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

অন্য পুরুষে মন মজেছিল স্ত্রীর। প্রেমও করছিলেন জমিয়ে। তবে জানতে পেরেও বাধা দিলেন না যুবক। উল্টে স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রীকে। বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, একটি কেটলি এবং কিছু নগদ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের উত্তর কোনাওয়ে জেলায়। নেটপাড়ার দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে ঘটনাটি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার তোলাকি জনজাতির বাসিন্দা ওই যুবক সম্প্রতি স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু তার পরেও মেজাজ হারাননি তিনি। ওই জনজাতির ‘মোয়ে সারাপু’ নামে এক রীতি অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি চাইলে কিছু পণ্যের বিনিময়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে সকলেরই সম্মতি প্রয়োজন।

জানা গিয়েছে, উত্তর কোনাওয়ে জেলার ওই যুবকও সেই রীতি মানতে রাজি হন। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি করতে স্ত্রীর প্রেমিকের থেকে একটি গরু, একটি স্টিলের কেটলি এবং ৫,০০,০০০ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৫০০ টাকা) নেন। বিনিময়ে স্ত্রীকে তুলে দেন প্রেমিকের হাতে।

স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই যুবক শান্ত ভাবেই স্ত্রী-হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে হাসিমুখে প্রেমিকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। এর পর পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাক্ষী রেখে রীতি সম্পন্ন হয়। যুবকের দাবি, উভয় পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্যই তিনি ওই রীতি মেনে নেন। স্ত্রীকে তুলে দেন অন্য পুরুষের হাতে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিশোধের পরিবর্তে শান্তি বেছে নিয়েছি আমি। এখন আমরা সকলেই খুশি।’’

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। কেউ কেউ স্বামীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার রীতিটির নিন্দা করে সরব হয়েছেন। এই রীতির সমালোচনা করেছেন ইন্দোনেশিয়ার নারীবাদী সংগঠনগুলিও।

Advertisement
আরও পড়ুন