Uttar Pradesh

দিনে অসহ্য গরম, রাত নামলেই আঁধারে ডুবছে গ্রাম! শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন বধূরা

পারিবারিক কোনও বিবাদ নয়, গোটা এলাকা জুড়ে চলা মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন গৃহবধূরা। এলাকার ট্রান্সফরমারে গোলযোগ হওয়ায় অবিরাম বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গত ছ’মাস ধরে এই অচলাবস্থা চলার পর প্রবল গরম পড়তেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৫ ১৫:২২
UP women have left their marital homes

—প্রতীকী ছবি।

দাম্পত্য সমস্যা নয়, বিচিত্র এক কারণে এলাকার একাধিক পরিবার থেকে গৃহবধূরা সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি রওনা হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার দেবচাঁদপুর ওয়ার্ডের কাকোর গহনা এলাকার বাসিন্দাদের সামনে উদ্ভূত হয়েছে এক অদ্ভুত সমস্যা। পারিবারিক কোনও বিবাদ নয়, গোটা এলাকা জুড়ে চলা মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন গৃহবধূরা। এলাকার ট্রান্সফরমারে গোলযোগ হওয়ায় অবিরাম বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গত ছ’মাস ধরে এই অচলাবস্থা চলার পর প্রবল গরম পড়তেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। কোনও সমাধান না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক মহিলাই ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় পুরপ্রধান শশী মৌর্যের স্ত্রী রঞ্জু দেবী সুঙ্গুলপুর মাদিয়াহুনে তাঁর পিত্রালয়ে চলে এসেছেন। গরমে নাজেহাল হয়ে তিনি বাপের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। শশী প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, অন্যান্য বাড়ির মতো তাঁর সংসারেও এই বিদ্যুৎ না থাকা নিয়ে নিত্য দিন অশান্তি হচ্ছে। যার জেরেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন স্ত্রী। একই অবস্থা স্থানীয় তরুণ রাজ কুমারের সংসারেও। মাত্র দু’বছর আগে বিয়ে হওয়া এই তরুণের স্ত্রীও বাড়িছাড়া হয়েছেন একই কারণে। প্রত্যেক গৃহবধূরই একই দাবি, যত দিন না বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হচ্ছে তত দিন তাঁরা শ্বশুরবাড়িমুখো হবেন না।

প্রায়ই ট্রান্সফরমার বিগড়ে যাওয়ার কারণে একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে গ্রামে। কিছু দিন অন্তর ট্রান্সফরমার ঠিক করা হলেও আবার সেটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল থেকেই গরম প়ড়তে শুরু করেছে। মে মাসে চরম তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। একাধিক বার মেরামত করা হয়েছে সত্ত্বেও ট্রান্সফরমারটি বার বার যায়। আবেদন, অভিযোগ করেও এই সমস্যার সুরাহা করতে পারেনি প্রশাসন। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কোনও স্থায়ী সমাধান এখনও পর্যন্ত মেলেনি বলেই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।

Advertisement
আরও পড়ুন