ছবি: সংগৃহীত।
হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে থাকা রোগীর সঙ্গে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, মারধরে জড়িয়ে পড়লেন চিকিৎসক। বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীকে নির্মম ভাবে মারধর করতে দেখা গিয়েছে মুখে মাস্ক ও সাদা অ্যাপ্রন পরা এক চিকিৎসককে। ঘটনাটি হিমাচল প্রদেশের শিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (আইজিএমসি)। সোমবারের এই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামান্য বচসার পর মেজাজ হারিয়ে চিকিৎসক চড়াও হন রোগীর উপর। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন রোগী। ভিডিয়োর শুরুতে দেখা গিয়েছে, স্যালাইন দেওয়ার দণ্ড রোগীর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে তা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করছেন চিকিৎসক। আত্মরক্ষার জন্য বিছানায় শুয়ে লাথি মারতে শুরু করেন রোগী। অন্য এক চিকিৎসক রোগীর পা ধরে চেপে রাখার চেষ্টাও করেন। পদাঘাত এড়িয়ে রোগীর মুখের কাছে পৌঁছে তাঁকে পর পর চড় মারতে শুরু করেন চিকিৎসক। সূত্রের খবর, শিমলার কূপভির বাসিন্দা শিক্ষক অর্জুন পানওয়ার এন্ডোস্কোপির জন্য হাসপাতালে যান। এন্ডোস্কোপির পর তাঁকে বিছানায় বিশ্রাম নিতে বলা হয়। কিন্তু অন্য এক চিকিৎসক তাঁকে বাধা দেন। এর ফলে বাদানুবাদ শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। আইজিএমসির মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট রাহুল রাও জানিয়েছেন, পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক রাঘব নারুলার বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখুর নির্দেশে আইজিএমসি প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে নিলম্বিত করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ‘আই_লভ_হিমাচল’ নামের একটি হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করার পর কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়োটি দেখার পর নেটাগরিকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মন্তব্য বিভাগ ভরে উঠেছে নেটমাধ্যমকারীদের মন্তব্যে। তাঁদের অনেকেই পুরো ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, এটি একটি অসম্পূর্ণ ভিডিয়ো। তাই এটির প্রচার করা অনুচিত। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আমার মনে হয় ইনি কুস্তির রিং থেকে এমবিবিএস করেছেন।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ের আগ্রাসন দেখুন! কে কার চিকিৎসা করছে তা রহস্য!’’