—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সাম্প্রতিক কালে অলঙ্কারের দোকানে একাধিক লুট, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বিধি চালু করল বারাসত জেলা পুলিশ। প্রতিটি অলঙ্কারের দোকানে সিসি ক্যামেরা রাখার পাশাপাশি, ক্রেতারা বোরখা ও টুপি পরে দোকানে ঢুকলেও ক্যামেরার সামনে মুখ দেখাতে হবে তাঁদের বলে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বারাসত পুলিশ জেলার দেগঙ্গা, আমডাঙা, দত্তপুকুরের মতো গ্রামীণ বাজার এলাকা ছাড়াও শহর এলাকার বেশ কিছু গয়নার দোকানে একাধিক চুরি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, বারাসত পুলিশ জেলা এলাকায় চলতি বছরে যেক’টি চুরি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, তার সবক’টির কিনারা করেছে তারা। সিসি ক্যামেরা থাকায় ধরতে সুবিধা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরা ছাড়া এত দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব ছিল না বলেই দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যে বারাসত জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের নিয়েসমাজমাধ্যমে একটি গ্রুপ করা হয়েছে। যে কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সেখানে জানাতে পারবেন। জেলা পুলিশের সবক’টি থানার কাছেও সেই তথ্য চলে যাবে ওই গ্রুপের মাধ্যমেই। সঙ্গে সঙ্গে পথে নজরদারিতে যাতে সুবিধা হয়, সে কারণেই এই উদ্যোগ। নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গয়নার দোকানে ঢোকার দরজা সরু করতে হবে, যাতে এক সঙ্গে এক জনের বেশি পাশাপাশি ঢুকতে-বেরোতে না পারেন। দরজায় শিকল ও তালা রাখতে হবে। ঢোকার মুখেও সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষী থাকলে তাঁদের তথ্য স্থানীয় থানাকে জানিয়েরাখতে হবে।
পুলিশ ও অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠকও হয় সম্প্রতি। বারাসতের পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝারখড়িয়া বলেন, ‘‘দোকানে ঢোকার সময়ে সকলকে মুখ দেখিয়ে ঢুকতে হবে। মুখ দেখানোর পরে আবার মাস্ক ও বোরখা পরতেই পারেন। দুষ্কৃতীরা এমন পোশাক পরে চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি করে। নিরাপত্তার কারণে এই উদ্যোগ।’’
স্থানীয় ব্যবসায়ী আনন্দ রায় বলেন, ‘‘পুলিশ অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি কমবে এতে। ’’