Special Intensive Revision

খসড়া ভোটার তালিকায় মা-মেয়ের বয়সের তফাত সাত বছর

সূর্যনগর পঞ্চায়েতের ৩০ নম্বর বুথের বাসিন্দা সুজাতারানি ঘোষের নথি অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর মা পরমা ঘোষের বয়স ছিল ২৬ বছর। ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় তা বেড়ে হয়েছে ৪৯।

সমরেশ মণ্ডল
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:৩০

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই নানা গরমিল দেখা যাচ্ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। কাকদ্বীপে কোথাও মা ও মেয়ের বয়সের পার্থক্য মাত্র সাত বছর, কোথাও বাবা-ছেলের বয়সের ব্যবধান ১৭ বছর! এর জেরে খসড়া ভোটার তালিকায় কয়েক জনের নাম সন্দেহজনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমন অসঙ্গতি কাকদ্বীপের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় আছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সূর্যনগর পঞ্চায়েতের ৩০ নম্বর বুথের বাসিন্দা সুজাতারানি ঘোষের নথি অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর মা পরমা ঘোষের বয়স ছিল ২৬ বছর। ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় তা বেড়ে হয়েছে ৪৯। অথচ, সুজাতার বর্তমান বয়স ৪২। ফলে মা-মেয়ের বয়সের ফারাক দাঁড়াচ্ছে সাত বছর! তাই খসড়া তালিকা থেকে সুজাতার নাম বাদ পড়েছে। তিনি জানান, নথি জমা দিয়ে ফর্ম ৬-এর মাধ্যমে নাম ফের অন্তর্ভুক্তির আবেদন করবেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মা বললেন, অল্প বয়সে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এত কম বয়সে হয়েছিল কিনা, তা জানতে হবে।’’ খসড়া তালিকা অনুযায়ী, স্বামী বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের ১৪৩ নম্বর বুথে আবার সুজিত হালদারের বয়স ৩৯, ছেলে সুদীপ্তের বয়স ২২। অর্থাৎ, দু’জনের বয়সের পার্থক্য মত্র ১৭ বছর! দু’জনের নাম তালিকায় থাকলেও সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুদীপ্তের বক্তব্য, ‘‘২০০২-এ বাবা-মায়ের নাম ভোটার তালিকায় ছিল কিনা জানি না।’’

তৃণমূল নেতা তথা স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দেবকুমার দাস বলেন, ‘‘ভুয়ো ভোটারের পাশে তৃণমূল নেই, তবে বৈধ ভোটার বাদ গেলে আন্দোলন হবে।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘ভূতুড়ে ভোটার, রোহিঙ্গা, অন্যকে বাবা সাজিয়ে ভোটার— এ সব বাদ দিতেই এসআইআর হচ্ছে।’’

কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক প্রীতম সাহা জানান, অভিযোগ পেলে শুনানি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসঙ্গতি ধরা পড়লে শুনানিতে ডাকা হবে। নথি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন