TMCP's Agitation At Baruipur CPM Party Office

ব্রাত্যের উপর হামলা কেন? বারুইপুরে সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ, ঘণ্টাখানেক আটকে সুজনেরা!

সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার নেতাদের পার্টি অফিসে ঢুকতে বাধা দেন টিএমসিপি-র কর্মীরা। তাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪২
সুজন চক্রবর্তীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি টিএমসিপি-র।

সুজন চক্রবর্তীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি টিএমসিপি-র। —নিজস্ব চিত্র।

বারুইপুরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভের অভিযোগ তৃণমুল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর বিরুদ্ধে। পার্টি অফিসের ভিতরে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী থেকে রাহুল ঘোষ, রতন বাগচীর মতো সিপিএমের নেতারা। সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

সুজনের হুঁশিয়ারি, ‘‘তৃণমূলের অফিসে তৃণমূলের লোকেরা ঢুকতে পারছেন না বলে তাঁরা যদি ভাবেন সিপিএমের অফিসে এসে ঢুকবেন, তা কোনও দিন মেনে নেওয়া হবে না। তালা দেওয়া হলে তালা ভেঙে দেওয়া হবে। পতাকা আমরা খুলে দেব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই পার্টি অফিস দখলদারির জায়গা নয়।’’

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, সোমবার তাঁদের পার্টি অফিসে ঢুকতে বাধা দেন টিএমসিপি-র কর্মীরা। তাঁরা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তাঁদের পার্টি অফিসের সামনে চলে আসেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপরে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে, তার জবাব চান ওই টিএমসিপি কর্মীরা। সেই সময়ে ভিডিয়ো করছিলেন কয়েক জন। শুরু হয় দুই দলের নেতাকর্মীদের বাদানুবাদও। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের নেতাদের গালাগালি করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পার্টি অফিসে আটকে থাকেন সুজনেরা।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুজন বলেন, ‘‘কয়েক জন (তৃণমূলের) নেতাগিরি করার জন্য এ সব করেছেন। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। হয়তো কারও নজরে পড়ার জন্য এটা করেছেন।’’ তিনি আরও জানান, কর্মীদের নিয়ে পার্টি অফিসের পাঠাগারে একটি বৈঠক করছিলেন। তখনই কয়েক জন এসে গন্ডগোল করেন। কটাক্ষের সুরে সুজনের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের অফিসে তৃণমূল ঢুকতে পারছেন না বলে তাঁরা যদি ভাবেন সিপিএমের অফিসে এসে ঢুকবেন, তা মেনে নেওয়া হবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালালেন (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে)। তার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ আছেন। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে গুন্ডা বানানোর চেষ্টা চলছে। আর পুলিশমন্ত্রী-সহ বাকিরা সেই গুন্ডামিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন