(বাঁ দিকে) শাহজাহান শেখ। (ডান দিকে) সাক্ষী ভোলা ঘোষ। পিছনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। — ফাইল চিত্র।
শাহজাহান শেখের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভোলা ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা এবং দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্ত। গত বছর শাহজাহানের বাড়িতে ইডির উপর হামলার অভিযোগে সে সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এ বার ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনায় আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। এ ছাড়াও, রুহুল কুদ্দুস শেখ নামে আরও এক জনকে ধরেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ভোলা। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তিনি এবং তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ‘পরিকল্পিত ভাবেই খুন’ করা হয়েছে তাঁর সহযাত্রী পুত্র এবং গাড়ির চালককে। তবে কোন আট জনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তা প্রকাশ করেননি তিনি। তবে জানা গিয়েছে, যে আট জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রহুল বা উত্তমের নাম নেই!
বুধবার সকালে ভোলার চার চাকার গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি। লরিটিও জলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িচালক এবং ভোলার কনিষ্ঠ পুত্রের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভোলাও। দুর্ঘটনাস্থল থেকে রাতেই ট্রাক এবং গাড়িটি উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি পাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অধরা ঘাতক ট্রাকের চালক।
জানা গিয়েছে, রুহুলকে ন্যাজাট থানা এলাকার রাজবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর উত্তমকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাট এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে ধরা হয়। ২০২৪ সালে তাঁকে ইডির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। জমি দখল, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি। আদালত নির্দেশে বলেছিল, নিজের জেলায় অর্থাৎ উত্তর ২৪ পরগনায় ঢুকতে বা থাকতে পারবেন উত্তম। তখন থেকেই পোলারহাটে থাকতেন তিনি। কিন্তু ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনায় তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। ১৪ দিনের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। তবে বিচারক ন’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।