Bengal Coal Scam

দ্বীপরাষ্ট্রে অন্য নামে রয়েছেন বিনয়! ‘পলাতক’ মিশ্রের প্রত্যর্পণে বাধা, জটিলতা তদন্তে: আদালতে সিবিআই

গরু পাচার মামলায় ইডি-র আর্জির ভিত্তিতে বিনয়কে আগেই ‘পলাতক অপরাধী’ হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লির আদালত। কয়লা পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত সেই বিনয়ের প্রত্যর্পণের শুনানি শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে বিশেষ আদালতে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৭
binay mishra

গত ৫ বছর ধরে পলাতক বিনয় মিশ্র। —ফাইল চিত্র।

কয়লা ও গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র গত কয়েক বছর ধরে ভিন্‌দেশে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, এখন তিনি রয়েছেন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটুতে (যেখানে ছিলেন ললিত মোদী)। কিন্তু প্রত্যর্পণ আটকে রয়েছে অন্য এক কারণে। কলকাতার বাসিন্দা বিনয় নাকি অন্য নামে রয়েছেন ওই দ্বীপরাষ্ট্রে। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের আইনজীবী।

Advertisement

গরু পাচার মামলায় ইডি-র আর্জির ভিত্তিতে বিনয়কে আগেই ‘পলাতক অপরাধী’ হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লির আদালত। কয়লা পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত সেই বিনয়ের প্রত্যর্পণের শুনানি শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে বিশেষ আদালতে। সিবিআই জানিয়েছে, বিনয় বর্তমানে বিদেশেই রয়েছেন। যার ফলে তদন্তে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু বিনয়কে ফেরানো যাচ্ছে না কেন? সিবিআই জানাচ্ছে, বিনয় এখন দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছেন। কিন্তু ভিন্ন পরিচয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট মামলায় সিবিআই বিস্তারিত ডসিয়ার এবং হলফনামা জমা দিয়েছে। তাতে কয়লা পাচারের প্রমাণপত্র এবং বেশ কিছু নথি রয়েছে বলে খবর। কিন্তু বিনয়কে না-পাওয়ায় তদন্তপ্রক্রিয়া গুটিয়ে আনা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের দাবি, পাচারচক্রে অন্যতম ছিলেন বিনয়। অবৈধ ভাবে উপার্জিত টাকা বণ্টনের তথ্য তাঁর কাছেই রয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশত্যাগ করেন তিনি। এবং সেই থেকে সিবিআইয়ের সমন এড়িয়ে চলছেন। তাঁকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছে।

আগেই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বিনয়কে পলাতক ঘোষণা করেছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই থেকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলছে। তবে তাঁর নতুন নাগরিকত্ব এবং সম্ভাব্য অন্য পরিচয়ে থাকার কারণে ওই প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠেছে। বস্তুত, ইডি ও সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, গরু ও কয়লা পাচার থেকে আয়ের মোটা টাকা বিনয়ের মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রভাবশালীদের’ কাছে পৌঁছে যেত। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কেও জমা করেছিলেন বিনয়। তদন্ত শুরুর পর থেকেই তিনি উধাও হয়ে যান। আগামী শুনানিতে বিনয়ের প্রত্যর্পণ এবং তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত আরও তথ্য সামনে আসতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন