TMC

আবারও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, প্রধান-সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি

পঞ্চায়েত সদস্য অরবিন্দ ঘোষের অভিযোগ, দিন চারেক আগে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে গেলে তাঁকে যোগ দিতে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন এড়ালের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ০১:৪১
শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। —প্রতীকী চিত্র।

ফের শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এক পঞ্চায়েত সদস্যকে হুমকি ও নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সকল পঞ্চায়েত সদস্য নিয়ে নিজেদের পদ থেকে গণ ইস্তফার হুমকি দিয়ে প্রশাসনের কাছে চিঠি দিলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এড়াল পঞ্চায়েত প্রধান পানো মাড্ডি।

Advertisement

পঞ্চায়েত সদস্য অরবিন্দ ঘোষের অভিযোগ, দিন চারেক আগে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে গেলে তাঁকে যোগ দিতে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন এড়ালের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডল। তা না শোনার জন্য বৈঠক থেকে বার করে হেনস্থা করা হয়৷

গত ২৫ জুলাই আউশগ্রাম থানার দ্বারস্থ হয়ে অরবিন্দ অভিযোগ জানিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি-সহ তিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অরবিন্দের দাবি, অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পরে মঙ্গলবার আউশগ্রাম-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান এড়াল পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সাত দিনের মধ্যে আমরা সকল সদস্য মিলে পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে ইস্তফা দেব।’’

এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

আউশগ্রাম-২ ব্লকের এড়াল পঞ্চায়েতে মোট ১৭টি আসন রয়েছে৷ এই পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, দীর্ঘ দিন ধরেই এড়াল অঞ্চলে শাসকদলেরই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ‘‘আমি কাউকে হুমকি দিইনি৷ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’1622244

Advertisement
আরও পড়ুন