BDO Prasanta Burman Row

কেন আগাম জামিন খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে? হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে বারাসত আদালত

অতিরিক্ত জেলা জজের হাতের কাছে কেস ডায়েরি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাতে ভরসা না রেখে কৌঁসুলির কথায় বিডিওকে জামিন দিয়ে দিলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১৪
BDO Prasanta Burman Row

উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের আগাম জামিন মঞ্জুর নিয়ে বিতর্ক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

খুনের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তের আগাম জামিন কী ভাবে মঞ্জুর করা হল? উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে আগাম জামিন দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল বারাসত আদালত।

Advertisement

সল্টলেকের কাছে দত্তাবাদে স্বর্ণকার স্বপন কামিল্যার অপহরণ এবং খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছে বিডিও প্রশান্তের। তবে তাঁকে আগাম জামিন দিয়েছিল বারাসত আদালত। আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা করে হাই কোর্টে গিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। অভিযোগ উঠেছিল, জাল নথি দিয়ে তিনি নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন ওই বিডিও। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েন নিম্ন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি। অতিরিক্ত জেলা জজের হাতের কাছে কেস ডায়েরি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাতে ভরসা না রেখে কৌঁসুলির কথায় বিডিওকে জামিন দিয়ে দিলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওই বিডিওর জামিন খারিজ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রশান্তের আইনজীবীও প্রশ্নের মুখে পড়েন। অন্য দিকে, ওই আইনজীবী সওয়াল করেন, পুলিশ কী করে জামিন খারিজের মামলা দায়ের করল? কেন তারা আগাম জামিন খারিজের আবেদন করেনি?

সওয়াল-জবাবের শেষে হাই কোর্ট বিডিওর আইনজীবীকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে তাঁর বক্তব্য হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয় স্বর্ণকারের দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্তেরও। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রশান্তই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যেই আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনের তদন্তে নেমে গত ১৩ নভেম্বর কোচবিহার-২ ব্লকের নেতা সজল সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার অব্যবহিত পরে সজলকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।

Advertisement
আরও পড়ুন