—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার (এসআইআর) শুনানি পর্বের তোড়জোড় চলছে। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়াল। কমিশন সূত্রে খবর, এ রাজ্যের ভোটারদের শুনানির কাজে প্রায় ৩ হাজারের বেশি মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগ করা হবে। গোটা শুনানিপর্ব চলবে তাঁদের নজরদারিতেই। কাদের মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করতে চায় কমিশন, বিধানসভা পিছু কত জন থাকবেন— এই সব নিয়েই আলোচনা হয় শনিবারের বৈঠকে।
শনিবার রাজ্যের সিইও-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থার আধিকারিকেরা। সেই তালিকায় ছিল কোল ইন্ডিয়া, ডিভিসি, আয়কর, শুল্ক, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, আরবিআই, পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল, মেট্রো রেল, এলআইসি, কলকাতার ইউকো ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক প্রধানেরা। এ ছাড়াও, কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা ওই বৈঠকে ছিলেন।
শুক্রবার কমিশনের নির্দেশ বলা হয়, শুনানি পর্বের তদারকি করবেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের বিভিন্ন শুনানিকেন্দ্রে মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হবে। কাদের শুনানি পর্বে মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হবে, তা-ও জানায় কমিশন। মূলত কেন্দ্রের গ্রুপ বি বা তার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে। সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই শনিবারের বৈঠক।
কমিশন সূত্রে খবর, শুনানির টেবিলে বিধানসভা পিছু ১১ জন করে মাইক্রো অবজ়ার্ভার থাকবেন। তবে এই ১১ জন একই জায়গায় বসবেন, না কি সংশ্লিষ্ট বিধানসভায় আলাদা আলাদা বা একাধিক শুনানি কেন্দ্র তৈরি করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রতি দিন ১০০ জনকে শুনানির জন্য ডাকা হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
গত ১২ ডিসেম্বর মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগ করতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সেই চিঠির ভিত্তিতে কমিশন জানায়, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগ করা যাবে। শুনানি পর্বে নজরদারির জন্য মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরা ৩০ হাজার টাকা সাম্মানিক পাবেন।
মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের কাজ হবে মূলত এসআইআর-এর শুনানি পর্বে নির্বাচনী আধিকারিক (ইআরও) এবং সহকারী নির্বাচনী আধিকারিকদের (এইআরও) কাজে নজর রাখা। ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি এবং সংশোধনে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। তাঁরা কাজ করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অধীনে। তাঁদের প্রশিক্ষণও দেবে সিইও দফতর। এনুমারেশন ফর্ম, ভোটারদের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র এবং শুনানির জন্য আসা ভোটাদের নথি যাচাই করবেন মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরাই। এ ছাড়া, ভোটার তালিকার অসঙ্গতি চিহ্নিত করা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণও তাঁদের দায়িত্বে থাকবে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা (ডিইও) কেন্দ্রের এই আধিকারিকদের নিরাপত্তা ও যাতায়াতের বন্দোবস্ত করবেন।