Fake Passport Case

কোটি কোটি লেনদেন! পাসপোর্টের পাশাপাশি ভিসাও জাল করতেন পাকিস্তানের আজাদ, দাবি ইডির

জাল ভিসা এবং পাসপোর্ট মামলার তদন্তে বিপুল অর্থ লেনদেনের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাদের দাবি, এই মামলা এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ১৪:৪৫
ED reveals that Ajad mallick also involved in fake visa case

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় গ্রেফতার হলেও আজাদ মল্লিক ওরফে আহমেদ হোসেন জাল ভিসা চক্রের সঙ্গেও জড়িত! তদন্তে এমনই জানতে পেরেছে বলে আদালতে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের দাবি, মূলত যে সব দেশে ভারতীয়দের ভিসার কড়াকড়ি কম, সেই সব দেশেরই জাল ভিসা বানানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আজাদ।

Advertisement

এপ্রিলের শুরুর দিকে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে আজাদকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অভিযুক্ত আজাদ বাংলাদেশি বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল। তবে তদন্তে উঠে আজাদ আসলে বাংলাদেশি নন, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের জাল বিছিয়ে ছিলেন আজাদ। তদন্তে নেমে ইডি এই মামলায় একের পর এক দিক উন্মোচন করে। মঙ্গলবার আদালতে তারা জানিয়েছে, দুবাই, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশের জন্যও জাল ভিসা বানানোর বন্দোবস্ত করতেন আজাদ। তাঁর কাছ থেকে দু’টি ভোটার কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। একটি নৈহাটি বিধানসভা এলাকার এবং অপরটি রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকার।

জাল ভিসা এবং পাসপোর্ট মামলার তদন্তে বিপুল অর্থ লেনদেনের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাদের দাবি, এই মামলা এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে। আর এই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে আজাদের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলেও দাবি করে ইডি।

এপ্রিলের শেষের দিকে আজাদকে আদালতে হাজির করিয়ে ইডি দাবি করে, তিনি আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। পাকিস্তানি পরিচয় আড়াল করার জন্য তিনি নিজের বাংলাদেশি পরিচয় ব্যবহার করতেন! ইডি সূত্রের খবর, আজাদের অধীনে থাকা একাধিক দালালও আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। বছর দশেক আগে থেকে তাঁদের নিয়ে আজাদ রীতিমতো ‘বাহিনী’ তৈরি করে এই ব্যবসা শুরু করেন। বাংলাদেশেও একাধিক দালাল আছে আজাদের। সব মিলিয়েই এই চক্র পাকাপোক্ত ‘নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছে। সেই চক্র শুধু পাসপোর্ট নয়, ভিসাও জাল করত বলে এ বার দাবি করল ইডি।

Advertisement
আরও পড়ুন