SSC Recruitment Case

নতুন বক্তব্য রাখতে চায় রাজ্য, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি পিছোল

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কেন কার্যকর করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৯
২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল।

২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত আদালত অবমাননা মামলার শুনানি। আগামী ১ মে ফের ফের এই মামলার শুনানি হবে। সোমবারের শুনানিতে রাজ্যের তরফে নতুন বক্তব্য রাখার আর্জি জানানো হয়। নতুন আইনি যুক্তি পেশ করার জন্য রাজ্যকে সময় দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কেন কার্যকর করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে এক দিনের মধ্যে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তা জানাতে বলা হয়েছিল। গত শুনানিতে বিচারপতি বসাক আদালতের নির্দেশ মেনে ‘দাগি’ শিক্ষকদের বেতন ফেরত-সহ দাগি এবং অযোগ্যদের ওএমআর প্রকাশের কথা বলেন। মামলাকারীদের দাবি, হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও পদক্ষেপ করেনি এসএসসি বা স্কুল শিক্ষা দফতর।

গত বুধবারের শুনানিতে এসএসসি এবং শিক্ষা দফতরের তরফে সওয়াল করে বলা হয় সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ, এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই মামলা করতে হলে হলে সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে মামলাকারীদের। অন্য দিকে, মামলাকারীদের আইনজীবী যুক্তি দেন যে, আদালতের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে অবমাননার মামলা শোনার।

বস্তুত, চাকরি বাতিলের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ প্যানেল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং বেতনের তালিকায় এখনও ‘অযোগ্য’দের নাম আছে। এ ছাড়া, এসএসসি-কে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশ করতেও বলেছিল আদালত। এখন এসএসসি এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আইনজীবীদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখলেও বেশ কিছু জায়গা ‘মডিফাই’ (পরিবর্তন) করেছে। এখন ওই সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার কেবল শীর্ষ আদালতেরই।

Advertisement
আরও পড়ুন