ঘূর্ণাবর্তের জেরে টানা দুর্যোগ দক্ষিণবঙ্গে! উত্তরে অতি ভারী বর্ষণ, ভিজবে কলকাতাও
পূর্ব বিহারের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি ছিল, তা আপাতত অবস্থান বদল করে আরও উত্তরের দিকে সরে গিয়েছে। এর জেরেই উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৬
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘূর্ণাবর্তের জেরে চলতি সপ্তাহে বঙ্গের অনেক জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব বিহারের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি ছিল, তা আপাতত অবস্থান বদল করে আরও উত্তরের দিকে সরে গিয়েছে। এর জেরেই উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গেও একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাদ যাবে না কলকাতাও।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। শনিবার কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। রবিবার হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
অন্য দিকে, সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। শনিবার আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) কমলা সতর্কতা রয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি।
