Kasba Incident

মরার আগে আড়াই বছরের শিশুকে মারলেন কে? বাবা না মা? কসবাকাণ্ডে উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা

মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং আড়াই বছরের পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দেহ নিজের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোমনাথ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৮
How did the two-and-a-half-year-old child died, Police tried to know that all aspect in Haltu case

শিশুপুত্রের সঙ্গে সোমনাথ রায় (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

কসবার হালতুতে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে অনেক প্রশ্ন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন, আড়াই বছরের শিশু তো আত্মহত্যা করতে পারে না! তবে তাকে মারলেন কে? বাবা না মা? কী ভাবেই বা মৃত্যু হল তার? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং আড়াই বছরের পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দেহ নিজের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোমনাথ। তাঁর স্ত্রীও গলায় দড়ি দেন। ঘরের দেওয়াল জুড়ে লেখা ‘সুইসাইড নোট’! তাতে লেখা ছিল পরিবারের কয়েক জন সদস্যের নামও। সুমিত্রার পরিবারের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। তাঁরা আঙুল তুলেছেন সোমনাথের মামা-মামির দিকে। সোমনাথের লেখা ‘সুইসাইড নোটে’ও রয়েছে সেই বিবাদের কথা। তবে প্রতিবেশীদের একাংশ আবার পাওনাদারের কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, সোমনাথের বাড়িতে পাওনাদারও আসতেন। তাঁরা শুনেছেন, তবে দেখেননি। তবে কি আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক অনটনের বিষয়ও? সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তবে পুলিশকে ভাবাচ্ছে আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি । বন্ধ ঘর থেকেই সোমনাথ এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফলে বাইরের কেউ এই তিন জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী, তা প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে না তদন্তকারীদের। তখনই প্রশ্ন উঠছে, আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যু কী ভাবে হল? পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুর চোখের কাছে এক দিকে কালশিটের দাগ রয়েছে। কী ভাবে ওই কালশিটে পড়ল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে শিশুর মৃত্যুর কারণও খুঁজছেন তদন্তকারীরা। বুধবার তিন জনেরই ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে।

মঙ্গলবার রায় পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধারের পরেই সুমিত্রার বাপের বাড়ির লোকজন দাবি করেন, সম্পত্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। কসবা থানায় এই ঘটনায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রথমটি করেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপ, মামি নীলিমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ করেছেন সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক। তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পরই পুলিশ সোমনাথের মামা, মামি এবং মাসিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সুমিত্রার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সোমনাথের মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং মামি নীলিমা ঘোষালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন