SIR

অবস্থার অবনতি কোন্নগরের সেই বিএলও-র! পাঠানো হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

তপতী কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, তপতীর বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০৫
Sick BLO from Konnagar shifted to Kolkata Medical College and Hospital

অসুস্থ বিএলও-কে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হল। — ফাইল চিত্র।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কোন্নগরের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) তপতী বিশ্বাস। তবে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

বুধবার কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছিলেন তপতী। আচমকাই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি ওই অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে কোন্নগর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রৌঢ়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অর্থাৎ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

তপতী কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, তপতীর বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে তাঁর বাঁ দিক ‘অবশ’ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমআরআই করানোর জন্য কলকাতায় আনা হয়েছিল। তার পরে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোন্নগর মাতৃসদনে। তবে রাতের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

তপতীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানান, এমআরআইয়ের রিপোর্টে ধরা পড়েছে, তাঁর স্ত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে কোন্নগরের ষেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল, সেখানে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তাই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে তপতীর সঙ্গে দেখা করে যান শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক (এসডিও) শম্ভুদীপ সরকার। এ ছাড়াও, নির্বাচন কমিশনের লোকেরাও এসেছিলেন হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে তপতীকে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

প্রৌঢ়ার স্বামীর দাবি, এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করা, তা জমা নেওয়া, তার তথ্য অ্যাপে আপলোড করার কাজের চাপ তপতী নিতে পারছিলেন না। নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন গত কয়েক দিনে। ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফর্মের তথ্য আপলোড করা যাচ্ছিল না। চিন্তায় রাতে ঘুমোতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, ফর্ম জমা নেওয়ার জন্য ঘন ঘন ফোন আসছিল। তপতী পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সেই কারণে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। কমিশনের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তপতীর পরিবার।

Advertisement
আরও পড়ুন