Goghat Murder Case

স্বামীকে খুনের সময় স্ত্রীকে ফোন করে প্রমাণ দিলেন খুনি প্রেমিক! ২ দিনেই হুগলিকাণ্ডের রহস্যভেদ

পুলিশ সূত্রে খবর, বরুণ দাসের স্ত্রী মিতা দাসের সঙ্গে তন্ময় দাস নামে স্থানীয় এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন বরুণ। ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতা থেকে স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন স্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩৬
Goghat Murder Case

ধৃত প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

প্রেমের পথে কাঁটা প্রেমিকার স্বামী। তাঁকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করেন প্রেমিক-প্রেমিকা। এমনকি, স্বামীকে খুনের সময় প্রমাণ দেখাতে স্ত্রীকে ফোন করেন প্রেমিক। হুগলির গোঘাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য জানাল পুলিশ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক থেকেই এই খুন। দুই অভিযুক্তকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’’

Advertisement

গত ৬ জুলাই, রবিবার গোঘাটের রঘুবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগ্রামে একটি জঙ্গল থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরে মৃতের পরিচয় জানা যায়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে মৃতের নাম বরুণ দাস। গোঘাট ব্লকের দেওটি এলাকায় বরুণের বাড়ি। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। কিন্তু কে কী কারণে খুন করল তাঁকে? খুনের মামলা রুজু করে সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছিল পুলিশ। দু’দিনের মাথায় জানা গেল হত্যার নেপথ্যের কারণ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বরুণ ওরফে পচার স্ত্রী মিতা দাসের সঙ্গে তন্ময় দাস নামে স্থানীয় এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন বরুণ। শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতা থেকে স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন স্ত্রী। তাতে সঙ্গ দেন প্রেমিক। জানা যাচ্ছে, বরুণকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তন্ময়। খুনের সময়ও বরুণের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হচ্ছিল। মোবাইলের সূত্র ধরে মিতা এবং তন্ময়, দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়।

আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত জানান, গত সোমবার গোঘাটের লয়লা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন,‘‘বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুনের ঘটনা। বরুণের স্ত্রীর প্রেমিক তন্ময়ই আসল খুনি। তিনি বরুণকে তাঁর বাড়ির কাছে পুকুরপাড়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর দেহ জঙ্গলে ফেলে চলে যান। যখন খুন করা হয়, তখনও তন্ময় মিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন।’’ তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে দু’জনকেই হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। সে জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন