Kalyani Blast

কল্যাণীর বিস্ফোরণকাণ্ডে জামিনে পেলেন বাজি ব্যবসায়ী, শর্ত বেঁধে দিল হাই কোর্ট

গত ফেব্রুয়ারি মাসে খোকনের আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, খোকনের কাছে দোকানে আতশবাজি বিক্রির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাজি কারখানার অনুমতি ছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১৯:৩৫
A photograph of Calcutta High court

কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তকে জামিন দিল হাই কোর্ট। —ফাইল ছবি।

নদিয়ার কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত খোকন বিশ্বাসকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রায় ১৩৫ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত মনে করছে অভিযুক্তের আরও হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল। পাশাপশি, বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ বা ১০৬ নম্বর ধারা প্রযোজ্য হবে কি না নিম্ন আদালত তা বিবেচনা করবে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে খোকনের আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন এক জন। খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর দোকানে আতশবাজি বিক্রির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তিনি অবৈধ ভাবে বাজির কারখানা চালাতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি খোকনের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় মামলা দায়ের হয়। বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এত দিন তিনি জেলে ছিলেন। সম্প্রতি জামিন চেয়ে অভিযুক্ত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি ঘোষ খোকনকে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। শর্ত হিসাবে আদালত জানায়, এই মামলার বিচার চলাকালীন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। উপযুক্ত কারণ ছাড়া হাজিরা না দিলে জামিন বাতিল করতে পারবে নিম্ন আদালত। মামলার সঙ্গে যুক্ত সাক্ষীদের ভয় দেখানো বা প্রমাণ নষ্ট করা চলবে না।

খোকনের আইনজীবী আবীররঞ্জন নিয়োগী জানান, অভিযুক্তের শুধুমাত্র বাজি বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বাজি কারখানা চালানোর লাইসেন্স নেই বলে অভিযোগ। চার জনের মৃত্যুর পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালত মনে করছে, তদন্ত শেষ হয়ে চার্জশিট জমা পড়েছে। এখন আর জেলে রাখার দরকার নেই। তাই জামিন দিয়েছে। তিনি আরও জানান, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ এবং ১০৬ ধারা অনুযায়ী যদি কারও অবহেলা বা বেআইনি কার্যকলাপ গুরুতর ও বেপরোয়া হয় তবে তা খুনের অপরাধের সমান। ট্রায়ালে ওই অভিযোগটি নিম্ন আদালতকে বিবেচনা করতে বলেছে হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন