Patna Hospital Murder

আইসিইউয়ে ঢুকে গ্যাংস্টারকে খুন: পটনার ঘটনায় পাঁচ জন আটক কলকাতার নিউ টাউনে, ধরাল মোবাইল ফোনই

পটনার হাসপাতালে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে কলকাতায় চলে এসেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মোবাইলের লোকেশন ধরেই অভিযুক্তদের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৪:০১
পটনায় হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় নিউ টাউন থেকে গ্রেফতার পাঁচ অভিযুক্ত।

পটনায় হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় নিউ টাউন থেকে গ্রেফতার পাঁচ অভিযুক্ত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পটনার হাসপাতালের আইসিইউয়ে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় কলকাতা থেকে ধরা পড়লেন পাঁচ জন! কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউনে একটি আবাসন থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজা আগেই পটনা থেকে ধরা পড়েছেন। এ বার আরও পাঁচ জন ধরা পড়লেন।

Advertisement

শনিবার ভোরে পটনা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) যৌথ ভাবে নিউ টাউন হানা দেয়। ওই অভিযানেই ধরা পড়েন পাঁচ অভিযুক্ত। পিটিআইকে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পটনার ঘটনার পরে অভিযুক্তেরা সেখান থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিউ টাউনের এক আবাসনে লুকিয়ে ছিলেন। ধৃতদের মধ্যে চার জন খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। অপর জন অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, নাকি বাকিদের লুকোতে সাহায্য করছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশের ওই আধিকারিক এ-ও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মোবাইলের লোকেশন থেকেই তাঁদের সন্ধান মিলেছে। বিহার পুলিশ অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে ট্রানজ়িট রিমান্ডের জন্য আবেদন জানাবে। গত বৃহস্পতিবার পটনার হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে আইসিইউতে ভর্তি থাকা এক রোগীকে গুলি করে খুন করে এক দল দুষ্কৃতী। নিহত চন্দন মিশ্র নিজেও এক দুষ্কৃতী। খুনের মামলায় আসামি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি প্যারোলে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চন্দন।

বিহারের বক্সারের বাসিন্দা চন্দনের বিরুদ্ধে ২৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১২ খুনের মামলা। পুলিশের নিরাপত্তায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল চন্দনের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এক দল দুষ্কৃতী হাসপাতালে প্রবেশ করে ঢোকে। তার পর চন্দনকে গুলি করে খুন করার পর হাসপাতাল ছাড়ে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছ’জন ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরে তদন্ত চলাকালীন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতীদের মধ্যে পাঁচ জন হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করেছিল, এক জন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিল।

হাসপাতালের আইসিইউতে গুলি চলার পরেই ওই আওয়াজে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সুযোগে ভিড়ে মিশে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল পাঁচ দুষ্কৃতী। চন্দনকে খুনের পর হাসপাতালের বাইরে বন্দুক উঁচিয়ে উল্লাস করে তারা। তার পর দু’টি বাইকে ছ’জন মিলে চম্পট দিয়েছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন