আখতার আলি। — ফাইল চিত্র।
সমন পাঠিয়ে তলব করা হলেও মঙ্গলবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিলেন না আখতার আলি। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান, আখতার অসুস্থ। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। পাশাপাশি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন আখতার।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আখতারই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁকে ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলা হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সন্দীপ জেলবন্দি। পরে এই মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে, আরজি করের দুর্নীতিতে জড়িত আখতারও! সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে তাঁকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার আদালতে আখতারের হাজিরা এড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সন্দীপের আইনজীবী। তাঁর দাবি, যাঁকে ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলা হল, তিনি এখন ‘অভিযুক্ত’। অথচ তাঁর অভিযোগে বাকিরা এক বছর ধরে জেল খাটছেন। আইনজীবীর প্রশ্ন, সিবিআইয়ের দ্বিচারিতা কেন? আদালত আখতারকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় আবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। অন্য দিকে, আখতারের সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জশিটে শশীকান্ত চন্দক নামে জনৈকের নাম ছিল। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই হাসপাতালেরই তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার। ২০২৩ সালে সেই অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে আরজি কর থেকে তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে ডেপুটি সুপার (নন-মেডিক্যাল) পদে কিছু দিন কাজ করেন আখতার। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাঁকে আবার বদলি করে পাঠানো হয় উত্তর দিনাজপুরে। সেখানকার কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছিল সম্প্রতি তিনি নাকি সেই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দেন। তবে তাঁর সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়নি। পরিবর্তে দিন কয়েক আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই আখতারের বিরুদ্ধেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।