RG Kar Hospital Financial Irregularities

সন্দীপ ঘোষদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডিও, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অনুমতি দিল আদালত

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তিনি এখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। তার মাঝে ইডিও জেরা করবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৫
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ-সহ তিন অভিযুক্তকে জেলে গিয়ে জি়জ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। অনুমতি দিয়েছে আদালত। সন্দীপদের বয়ান রেকর্ড করতে চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর বিচারভবনের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। জেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ইডির তদন্তকারী আধিকারিক সন্দীপদের প্রশ্ন করবেন।

Advertisement

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তিনি এখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআইয়ের সেই মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। তার মাঝেই এ বার ইডি সন্দীপদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সন্দীপ ছাড়াও বয়ান রেকর্ড করা হবে বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরার। তাঁদেরও এই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আদালত জানিয়েছে, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার যথাযথ তদন্তের স্বার্থে ইডির আবেদন মঞ্জুর করা হল। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিক তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কুমারী পূর্ণিমা এবং তাঁর সহকারী আধিকারিক বিকাশ যাদব প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে তিন জনকে জেরা করতে পারবেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে পারবেন। সেই সময় উপস্থিত থাকবেন জেলের সুপার। তবে বর্তমানে যে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তার সময়সূচি মেনে ইডিকে কাজ করতে হবে। ওই সময়সূচিতে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। আগামী ৯ ডিসেম্বর বিচারভবনে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সে দিন কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে ইডিকে। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকেও।

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে এসেছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও। দু’টি মামলায় সমান্তরালে তদন্ত চালিয়েছে সিবিআই। উভয় ক্ষেত্রেই সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ধর্ষণ-খুনের মামলাটিতে তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছেন আগেই। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও জেল খাটছেন। ওই মামলায় সিবিআই সন্দীপদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন আইনে মামলা রুজু করে চার্জগঠন করেছিল। গত বছর ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল।

সন্দীপদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, আরজি করে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতি চলেছে। নানা ভাবে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। দাবি, ঘনিষ্ঠদের টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ।

Advertisement
আরও পড়ুন