Kolkata Police

পাঁচ গুজরাতিকে অপহরণ কলকাতায়! কানাডা পাঠানোর টোপ দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ, ছ’দিন পর উদ্ধার

২৬ বছর বয়সি এক গুজরাতি যুবক রবীন্দ্রসরোবর থানায় অপহরণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, তাঁর সঙ্গে আরও যে পাঁচ জন গুজরাত থেকে এসেছিলেন, তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৫
কলকাতা থেকে উদ্ধার পাঁচ গুজরাতি।

কলকাতা থেকে উদ্ধার পাঁচ গুজরাতি। —ফাইল চিত্র।

মহিলা এবং শিশু-সহ পাঁচ জন গুজরাতিকে অপহরণের অভিযোগ উঠল কলকাতায়। কর্মসূত্রে তাঁদের কানাডায় পাঠিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল। ফাঁদে পা দিয়েই বিপদে পড়েন তাঁরা। বুধবার ওই পাঁচ জনকে কলকাতা পুলিশ উদ্ধার করেছে। টানা ছ’দিন তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। কেন এবং কী ভাবে এই পাঁচ জনকে অপহরণ করা হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বিশাল পটেল রজনীকান্ত নামের ২৬ বছর বয়সি এক যুবক রবীন্দ্রসরোবর থানায় অপহরণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, তিনি তাঁর বন্ধু যোগেশ কুমার দাভি, তাঁর স্ত্রী কাজলবেন, বোন, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে গুজরাত থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। বিশাল গুজরাতের মেহসানা জেলার বাসিন্দা। ‘অ্যাব্রড ড্রিম্‌স ইমিগ্রেশন’ নামের কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। ওই সংস্থা চালান জনৈক অভিলাষ নায়েক। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁদের কানাডায় যাওয়ার নথিপত্র জোগাড় করে দেওয়ার কথা ছিল এই অভিলাষের। কলকাতায় এসে গুজরাতি পরিবার দু’টি প্রথমে উঠেছিল বিমানবন্দরের সামনে ভিআইপি রোডের একটি হোটেলে। পরে সেখান থেকে রবীন্দ্রসরোবর থানা এলাকার অন্য একটি হোটেলে চলে যান।

অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাকি যে পাঁচ জন ছিলেন, তাঁরা গত ৩ জুলাই আবার কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। দাবি, ৩ তারিখ রাতেই অভিযোগকারীকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে ফোন করেন বন্ধু যোগেশ। জানান, তাঁরা নিরাপদে আছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, তা জানাননি। এর পরেই সন্দেহ হওয়ায় সোজা থানায় যান অভিযোগকারী।

অভিযোগের ভিত্তিতে রবীন্দ্রসরোবর থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। শুরু হয় তদন্ত। বুধবার ওই থানার একটি দল পাঁচ অপহৃত গুজরাতিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গুজরাতের এই বাসিন্দারা কেন কানাডায় যেতে চাইছিলেন, কী ধরনের কাজের টোপ তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, কারও সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন