কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-এর আবহে কলকাতা পুরসভা লাগামহীন ভাবে জন্মমৃত্যুর শংসাপত্র দিচ্ছে— এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। জবাবে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এই সংক্রান্ত বিষয় বিস্তারিত তথ্য দিয়ে কলকাতা পুরসভার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন।
সজল প্রশ্ন করেন, গত অগস্ট মাস থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার প্রধান কার্যালয় থেকে এবং কোন কোন বরো থেকে কত জন্ম-শংসাপত্র এবং কত মৃত্যু-শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে? জবাবে পরিসংখ্যান দিয়ে অতীন জানান, কলকাতা পুরসভার বরো-১-এ জন্ম বাবদ ১৯৭টি, মৃত্যু বাবদ ৩৫টি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। সে ভাবেই বরো-২-তে ৬৪ ও ২৬, বরো-৩-তে ৯৪৬ ও ৩১৪। বরো-৪-তে ২৭ ও ২২, বরো-৫-তে ৫৬৫ ও ২৪০, বরো-৬-তে ৩৯৭ ও ৯১, বরো-৭-তে ১৩০১ ও ২৩১, বরো-৮-তে ও ৯৪৪ ও ১২১, বরো-৯-তে ৬৩৫ ও ২২৩, বরো-১০-তে ৬৩৮ ও ১৫৪, বরো-১১-তে ২৫ ও ১৬, বরো-১২-তে ৯৮৩ ও ৫৭৯, বরো-১৩-তে ২৩১ ও ৫১, বরো-১৪-তে ২০ ও ২৭, বরো-১৫-তে ৫১৬ ও ২৮৪, বরো-১৬-তে ৮০৪ ও ৯৯। অর্থাৎ, এই সময়কালে ১৩২৬টি জন্ম ও ৭০১টি মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে পুরসভার মূল অফিসের অনুমোদনে।
এ ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন শ্মশান এবং কবরস্থান থেকেও মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। বাগমারি কবরস্থান থেকে ৩৭টি, ভটচালা হিন্দু কবরস্থান থেকে ৪৯টি, বিরজুনালা মহাশ্মশান থেকে ৭০টি, গড়িয়া আদি মহাশ্মশান থেকে ১৪৩০টি, গোবরা কবরস্থান থেকে ১০৪৬টি, কাশী মিত্র শ্মশান থেকে ৩৩৯টি, মুরারিপুকুর হিন্দু কবরস্থান থেকে ৭৪টি, নিমতলা মহাশ্মশান থেকে ৪৯৯৮টি, পাঁচ মসজিদ কবরস্থান থেকে ৯৩টি, রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান থেকে ৯৯৩টি, কেওড়াতলা মহাশ্মশান থেকে ৭৫৩২টি, ষোল আনা কবরস্থান থেকে ৫২৭টি, তপসিয়া হিন্দু কবরস্থান থেকে ২১০টি মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি কবরস্থান থেকে বরোভিত্তিক মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। বরো-১ থেকে ৮২, বরো-২ থেকে ১, বরো-৩ থেকে ১১, বরো-৫ থেকে ৪, বরো-৬ থেকে ১৬, বরো-৭ থেকে ২, বরো-৯ থেকে ২৪, বরো-১০ থেকে ৯২ এবং বরো-১৫ থেকে ৩৮টি মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।