SIR in West Bengal

এসআইআরের কারণে জন্মের শংসাপত্র পেতে আবেদনের হিড়িক, সাময়িক স্তব্ধ কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইট

অনলাইনের জমানায় কলকাতা পুরসভার পোর্টালে গিয়ে নিজ নিজ আবেদন জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটটি বসে গিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৫
KMC website crashes due to surge in applications for birth certificates due to SIR

এসআইআর-এর কারণে অনলাইনে জন্ম শংসাপত্র পাওয়ার আবেদনের হিড়িক বাড়ছে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর)-এর কাজ শুরু করেছে দেশের নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের সব প্রান্তে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম রাখতে অনেকেই নিজেদের জন্ম শংসাপত্রকে প্রমাণপত্র হিসাবে কমিশনকে দিতে চান। তাই জন্ম শংসাপত্র পেতে কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হচ্ছেন কলকাতার বড় অংশের মানুষ। অনলাইন জমানায় কলকাতা পুরসভার পোর্টালে গিয়ে নিজ নিজ আবেদন জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটটি সাময়িক ভাবে বসে গিয়েছিল। ফলে অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছিল না।

Advertisement

বিষয়টি নজরে আসামাত্রই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ করে পুরসভার তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। এ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ (তথ্য ও প্রযুক্তি) সন্দীপন সাহা বলেন, “হয়তো অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারণে সমস্যা হয়েছিল। আমরা তা দ্রুতই সারিয়ে তুলেছি, আর কোনও সমস্যা হবে না।” প্রসঙ্গত, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই কলকাতা পুরসভায় জন্ম শংসাপত্র পাওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল। পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাঁরা নিজেদের পুরনো সংশাপত্র নতুন করে পেতে চান, তাঁদের অনলাইনে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার নিয়মানুযায়ী, জন্মের শংসাপত্র পেতে হয় সংশ্লিষ্ট বোরো থেকে। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি নিজের পুরনো জন্মের শংসাপত্র কিংবা কারও মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে চান, তা হলে কলকাতা পুরসভায় অনলাইনেই আবেদন করতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার এসআইআর চালু হওয়ার দিন সকাল থেকেই ওয়েবসাইটের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। সেই পর্যায়েই পুরসভার ওয়েবসাইটটি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তবে পুর আধিকারিকদের উদ্যোগে দ্রুতই পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি যাতে সাধারণ মানুষ নির্ঝঞ্ঝাটে জন্মের শংসাপত্র পেয়ে যান। এ ক্ষেত্রে অনলাইনই হচ্ছে একমাত্র পথ, যেখানে মানুষ নিজে থেকে আবেদন করেই তা পেতে পারবেন। তাই আগামী দিনে যাতে ওয়েবসাইট মারফত আবেদন করতে কলকাতাবাসীর কোনও অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ থাকব।”

Advertisement
আরও পড়ুন