New Waste Processing Plant

৭৩ হেক্টর কৃষি জমি অধিগ্রহণ কলকাতা পুরসভার, তৈরি হবে নতুন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ধাপার উপর চাপ কমানোর চেষ্টা

পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বর্তমানে প্রতি দিন প্রায় ১,৫০০ টন বর্জ্য থেকে সার, সিএনজি ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য উৎপাদন করতে সক্ষম। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সক্ষমতা বাড়িয়ে ২,৫০০ টনে উন্নীত করা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৩
KMC acquired 73 hectares of land, new waste processing plant will be built

ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ড। —ফাইল চিত্র।

ধাপা ডাম্পিং সাইটের পাশে প্রায় ৭৩ হেক্টর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। এই জমি ধাপার সম্প্রসারণ ও নতুন ল্যান্ডফিল সাইট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে। মূল উদ্দেশ্য, বর্তমান ডাম্পিং সাইটের উপর থেকে চাপ কমানো এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে ওই জমিতে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। মোট ৮৮৩ জন কৃষককে তিন দফায় ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হবে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫০ জন কৃষক চেক পেয়েছেন। পুরসভার হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৫৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

Advertisement

পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বর্তমানে প্রতি দিন প্রায় ১,৫০০ টন বর্জ্য থেকে সার, সিএনজি ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য উৎপাদন করতে সক্ষম। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সক্ষমতা বাড়িয়ে ২,৫০০ টনে উন্নীত করা হবে। সেই লক্ষ্যে নতুন রিসাইক্লিং ইউনিট স্থাপনের জন্যই ৭৩ হেক্টর জমি অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছেন এক পুরকর্তা। তাঁর কথায়, “অধিগৃহীত জমিতে মেটেরিয়াল রিকভারি প্ল্যান্ট, সিএনজি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি বৃহৎ গার্বেজ-টু-সার প্ল্যান্টও স্থাপনের ভাবনা রয়েছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। ধাপা ডাম্পিং সাইট ১৯৮৭ সালে চালু হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ টন বর্জ্য গ্রহণ করছে — যা এর ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৪,৫০০ টন, পাশাপাশি সল্টলেক, নিউ টাউন ও পানিহাটি থেকে ৫০০ টন বর্জ্য সেখানে ফেলা হয়। শীঘ্রই হাওড়া থেকেও আরও ৩০০ টন বর্জ্য পাঠানো হবে। পরিবেশবিদদের সতর্কবার্তা, সময়মতো ধাপা সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ না হলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “ধাপার ভঙ্গুরতা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা নিজের মতো করে কাজ শুরু করে দিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায়।”

Advertisement
আরও পড়ুন