Domicile Certificate of KMC

এসআইআর নিয়ে মমতার সভার পরেই তৎপর পুরসভা, নিবাসী শংসাপত্র দেওয়ার কাজে গতি আনার নির্দেশ মেয়র ফিরহাদের

সোমবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নিবাসী শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনা হবে। আগের শিক্ষা বিষয়ক নিবাসী শংসাপত্র দেওয়া হত কলকাতার টাউন হল থেকে। আর ঠিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে নিবাসী শংসাপত্র দিতেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১২
KMC Mayor Firhad Hakim ordered to speed up the issuance of domicile certificate after the Chief Minister Mamata Bay\\\\\\\\\\\\\\\'s order

(বাঁ দিকে)মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বিএলএ-দের (বুথ লেভেল এজেন্ট) সভায় এসআইআর নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি দলের বিএলএ-সহ গোটা দলকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এসআইআরের প্রথম প্রক্রিয়ায় ৩১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪২৪ জন ম্যাপিংয়ে আওতায় আসেননি। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁদের নির্বাচন কমিশনের শুনানির মুখে পড়তে হবে। আবেদনের ভিত্তিতে সেই ভোটারদের নথি ও তথ্য-সহ শুনানিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সেই শুনানিতে ভোটারদের নিবাসী পরিচিতি (ডোমিসাইল সার্টিফিকেট) নিশ্চিত করতেই এই শংসাপত্র দেওয়ার কাজে গতি আনা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

Advertisement

নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ওই ভোটারদের শুনানিতে যাতে কোনওরকম হয়রানির শিকার না হতে হয়, সেই কারণেই দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জোগাড়ের জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছেন দলের নেতৃত্বকে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পরই সোমবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নিবাসী শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনা হবে। আগে শিক্ষা বিষয়ক নিবাসী শংসাপত্র দেওয়া হত কলকাতার টাউন হল থেকে। আর ঠিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে নিবাসী শংসাপত্র দিতেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরেরা। কিন্তু এসআইআরের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলরদের জারি করা নিবাসী শংসাপত্র গ্রহণ করছে না। তাই কলকাতা পুরসভা উদ্যোগী হয়ে এ বার নিবাসী শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, এ বার থেকে নিবাসী শংসাপত্র পেতে আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বরো অফিসে। কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোতে আবেদন করলে তা পুরসভার মূল দফতরে আসবে যাচাইয়ের জন্য। পুরসভার মূল দফতর যাচাই করে সবুজ সঙ্কেত দিলে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট বরো অফিস থেকেই নিবাসী শংসাপত্র দেওয়া হবে। তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা, এই কাজে গতি এলে কলকাতায় ম্যাপিংয়ের সময় ভোটার তালিকায় প্রশ্নের মুখে পড়ে যাওয়া ভোটারেরা সহজেই নিজের নাম তুলতে পারবেন ভোটার তালিকায়। প্রসঙ্গত, কলকাতার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি ভোটার বাদ গিয়েছে সংশোধিত প্রথম খসড়া ভোটার তালিকায়।

উল্লেখ্য, জোড়াসাঁকোয় ৭২,৮৯৯, চৌরঙ্গীতে ৭৪,৫১০, কলকাতা বন্দরে ৬৩,৭১৭, বালিগঞ্জে ৬৫,১৬৫, শ্যামপুকুরে ৪২,৩০৪, কাশীপুর–বেলগাছিয়ায় ৫৩,৩৬৫, বেলেঘাটায় ৫৬,৪৯৩, এন্টালিতে ৪৯,০০০ (প্রায়), রাসবিহারীতে ৪২,৫১৯, মানিকতলায় ৪১,৮৭০, ভবানীপুরে ৪৪,৭৮৭। প্রায় ছয় লক্ষের কাছাকাছি ভোটারের নাম কলকাতার এই ১১টি কেন্দ্র থেকে খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, কলকাতা পুরসভার নিবাসী শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন পদক্ষেপ করায় বাদ যাওয়া ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের বিএলএ এবং বিএলএ-২-দের যথেষ্ট সুবিধা হবে। অন্যদিকে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ২০টি কাউন্টার খুলে তা দেওয়া হচ্ছে এসআইআর পর্বে।

Advertisement
আরও পড়ুন