কলকাতা পুলিশের এএসআই মানিক দে। —নিজস্ব চিত্র।
মেটিয়াবুরুজের গঙ্গা থেকে ছয় শিশুকে উদ্ধার করলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই মানিক দে। ওই ছ’জন হুগলি নদীতে স্নান করতে এসেছিল। জলের তোড়ে ভারসাম্য রাখতে না পেরে ভেসে যায়। একটি বড় থার্মোকল তারা সামনে দেখতে পেয়েছিল। সেটি কোনও রকমে আঁকড়ে ছিল ছ’জন। মানিক তাদের দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধারের বন্দোবস্ত করেন। ছ’জনকেই বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটের পরের ঘটনা। ছয় নাবালক মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা। বিচালি ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল তারা। ওই সময়ে নদীর ধারে টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন মানিক। নেতাজি সুভাষ ডকের সামনে আচমকা তিনি ছয় শিশুকে ভেসে যেতে দেখেন। প্রাণভয়ে নদী থেকে চিৎকার করছিল তারা। সামান্য থার্মোকলে খুব একটা কারও সুবিধা হচ্ছিল না। মানিক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তিনি লঞ্চকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের সাহায্যে নদী থেকে ছ’জনকে উদ্ধার করেন।
জল থেকে ওঠার পর নাবালকেরা জানিয়েছে, তারা স্নান করছিল। হঠাৎ জলের স্রোত বেড়ে যায়। তাদের মধ্যে থেকে এক জন তোড়ে ভেসে যায়। প্রায় ডুবেই যাচ্ছিল ওই বালক। বন্ধুরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। সেই সময়ে সামনেই তারা থার্মোকলটি পেয়েছিল। সেটা আঁকড়ে কোনও রকমে ভেসে ছিল জলে। কিন্তু স্রোতের বিরুদ্ধে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। সে সময়ে স্রোত ছিল উত্তরমুখী, ফলে তারা উত্তর দিকে ভেসে যাচ্ছিল খুব দ্রুত। ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ তাদের জল থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর ছয় নাবালককে পশ্চিম বন্দর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ছ’জনকে।