Kolkata Police Recruitment

অ্যাডমিট কার্ডের ছবি আলাদা, মেলেনি সইও! কলকাতা পুলিশের নিয়োগপরীক্ষায় অন্যের হয়ে লিখতে বসে গ্রেফতার

দিনকয়েক আগে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পরীক্ষায় টুকলি করার অভিযোগে এক মহিলা পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে জেরা করে এক বড় চক্রের হদিস পায় পুলিশ। এ বার প্রকাশ্যে এল নয়া অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৮
Man arrested for appearing for someone else in Kolkata Police Sub-Inspector exam

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

এক জনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন অন্য জন! ধরা পড়লেন হাতেনাতে। কলকাতা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টরের নিয়োগপরীক্ষায় ঘটল এমনই কাণ্ড।

Advertisement

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর পদে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন লখাই ঘোষ। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কিন্তু আদৌ তিনি পরীক্ষার্থী নন! সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং সই মিলিয়ে দেখতেই জানা গেল আসল ব্যাপার। পরীক্ষার্থী আব্দুল খালেকের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন লখাই! আব্দুলও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।

পরীক্ষা দিতে বসেও গিয়েছিলেন লখাই। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে তাঁর মুখের মিল না-থাকায় সন্দেহ হয় পরীক্ষকের। গরমিল ছিল তাঁর স্বাক্ষরেও। অ্যাডমিট কার্ডে যে স্বাক্ষর ছিল, তার সঙ্গে মেলেনি লখাইয়ের করা সই। তখনই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়, তিনি আব্দুল নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

দিনকয়েক আগে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পরীক্ষায় টুকলি করার অভিযোগে এক মহিলা পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে জেরা করে এক বড় চক্রের হদিস পায় পুলিশ। ধৃত মহিলা পরীক্ষার্থীকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, কাটোয়ার মুলটি গ্রামের বাসিন্দা জাকির মণ্ডলের কাছ থেকে তিনি হোয়াট্‌সঅ্যাপের মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কাটোয়ার মুলটি গ্রাম থেকে জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছিলেন, কাটোয়া শহরের কাছারি রোড এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনার সময় কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ওই চক্রটি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর বিক্রি করত। এই ঘটনায় আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতে এ বার নতুন অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।

Advertisement
আরও পড়ুন