— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য পরিবহণ নিগমের জন্য সিএনজি চালিত বাতানুকূল বাস কেনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছিল। গত অগস্টে ওই বাস কেনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক অনুমতি মিলেছিল। অবশেষে সেই বাস এসে পৌঁছনো শুরু হয়েছে বলেপরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কসবায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের কার্যালয় সংলগ্ন ডিপোয় ৯ মিটারের তিনটি বাস এসেপৌঁছেছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে আরও কয়েকটি বাস চলে আসার কথা। তার মধ্যে সাড়ে ১১ মিটার লম্বা, সেমি-ডিলাক্স শ্রেণির বাস পর্যাপ্ত সংখ্যায় এসে পৌঁছলে সেগুলিকে গঙ্গাসাগর মেলায় ব্যবহারকরার ভাবনা রয়েছে পরিবহণ দফতরের।
নতুন ওই সব বাস কেনার জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরের ১২১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৭০ কোটিটাকা খরচ হচ্ছে। গুরুগ্রামের একটি নামী সংস্থার কাছ থেকে ওই সব বাস কেনা হচ্ছে বলে খবর। সিএনজি চালিত যে তিন ধরনের বাসমূলত কেনা হচ্ছে, তার মধ্যে ন’মিটার লম্বা ৩০টি বাস রয়েছে। ওইবাতানুকূল বাসগুলির প্রতিটির জন্য ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এর বাইরে সাড়ে ১১ মিটার লম্বা ১২০টিসেমি-ডিলাক্স শ্রেণির বাস কেনা হচ্ছে। ওই বাসগুলির প্রতিটির জন্য পরিবহণ দফতরের খরচ পড়বে ৬৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে কেনা হবে ৫০টি বাতানুকূল ডিলাক্স বাস। সেই বাসগুলির প্রতিটির জন্য ৬৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
পরিবহণ দফতর জানাচ্ছে, নথিভুক্তিকরণ সম্পূর্ণ হলে নতুন বাসগুলিকে রাস্তায় নামানো যাবে। এর ফলে রাজ্য পরিবহণনিগমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়বে। রক্ষণাবেক্ষণ এবং ডিজ়েল কেনার সমস্যায় যে সব রুটে বাস অনিয়মিত হয়ে পড়েছে, সেখানেও পরিষেবার হাল ফেরানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন বাস হাতে পাওয়ার জন্য প্রশাসনিক স্তরেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এর আগে ব্যাটারি চালিত বাস কেনার চেষ্টা হলেও বিভিন্ন জটিলতায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। পাশাপাশি, রাজ্য পরিবহণ নিগমের হাতে থাকা ভলভোবাসগুলির অধিকাংশই হয় মেয়াদ-উত্তীর্ণ, অথবা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।নতুন বাস এলে বাতানুকূল বাসের পরিষেবা চালু ছিল, এমনরুটগুলিতে বাসের সংখ্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে পরিবহণ দফতরের আর্থিক স্বাস্থ্যও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।