তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
মমতা বলেন, “কাল আমি দেখলাম বিহার থেকে বর্ধমানে ৫০টা বাইক নিয়ে এসেছে। বিহারের নামে রেজিস্ট্রি করা। বর্ধমানে ঢুকেছে। বিহারের মাফিয়াদের নিয়ে এসে ডবল ডবল বুলেট কিনে দিয়ে ব্যালট লুঠ করার জন্য মোটর সাইকেলের আমদানি হচ্ছে।”
এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য দলীয় বিএলএ-দের করণীয়, তা নেতাজি ইন্ডোর থেকে স্পষ্ট করে দেন মমতা।
১। প্রত্যেক পোলিং স্টেশনে মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকা ওয়েবসাইটে এবং জেলা, মহকুমা, ব্লক এবং পুরসভা অফিসে প্রকাশিত হবে। সেই তালিকা অনুসারে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জানতে হবে। তালিকাতে বাদ গিয়েছেন এমন ভোটার বাস্তবে আছেন কি না। যদি এমন ভোটার খুঁজে পাওয়া যায়, তবে এই ভোটারদের ফর্ম ৬ এবং অ্যানেক্সচার ৪ ইআরও-র কাছে জমা দিতে হবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য।
২। যে ভোটারদের বিএলও ‘আনম্যাপড’ বলে চিহ্নিত করেছেন, তাঁদের সকলে নোটিস পেয়েছেন কি না, দেখতে হবে। এই ভোটারদের আগে থেকে ২০০২ সালের তালিকার কপি এবং কমিশনের নির্ধারিত ১১টি প্রমাণপত্রের যে কোনও একটি সংগ্রহ করে রাখতে বলতে হবে। শুনানির সময়ে যাতে এই সকল ভোটারের উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁদের কাছে ১১টি প্রমাণপত্রের কোনওটি নেই, তাঁদের কাছে পার্মানেন্ট রেসিডেনসিয়াল সার্টিফিকেট, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য (যেটি যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) দ্রুত আবেদন করতে হবে।
৩। এই ক্ষেত্রে বিডিও অফিসেও সরকারের তরফে শিবির চালু করা হবে। বিএলও অ্যাপে যে ভোটারদের লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে করা হয়েছে এবং নোটিস পেয়েছেন, তাঁরা শুনানিতে উপস্থিত থেকে ২০০২ সালের কপি এবং প্রয়োজনীয় নথি দিচ্ছেন কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। শুনানির সময়ে ভোটারেরা যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, তা দেখতে হবে। বুথে বুথে ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করতে হবে। মমতা বলেন, “অনেক কাউন্সিলর কাজ করেন না। শুধু পার্টির বদনাম করেন। আমি তাঁদের পরিবর্তে দরকার হলে আলাদা করে ব্লক প্রেসিডেন্ট তৈরি করে দেব। যে ভাল কাজ করবেন, তাঁকে আমি ব্লক প্রেসিডেন্ট করব।”
৪। যে ব্যক্তিরা ফর্ম ৬, ফর্ম ৮ জমা দিচ্ছেন, তাঁর উপর নজর রাখতে হবে। সকলে যাতে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন, তার জন্য আবেদনকারীকে সাহায্য করতে হবে। ২০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা ফর্ম ৬ জমা দিলে, অনুসন্ধান করে দেখতে হবে তিনি সঠিক কি না। মমতা বলেন, “আগের বারের তালিকায় দেখেছিলেন তো, বাইরের অনেক নাম ঢুকিয়েছে। একটা বাঙালির সঙ্গে দশটা গুজরাতি, দশটা হরিয়ানার।”
৫। যে সকল ভোটার ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে নাম তুলতে চাইছেন, নিশ্চিন্ত হতে হবে তিনি কোথা থেকে আসছেন। মমতা বলেন, “পাড়ার লোকেরা তো বুঝতেই পারবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের এক বার আসতে বলুন, তাঁর ভবিষ্যতের স্বার্থে।”
মমতা বলেন, “লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সিতে কী ভাবে ভোটারেরা কাজ করবেন, সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই। আসেনি। ফলে হাজার হাজার ভোটারের লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি কী ভাবে এত স্বল্প সময়ে দূর হবে! বিএলও, সুপারভাইজ়র, এআরও, ইআরও, ডিইও, সিইও— কারও বাস্তব কথা জানা নেই। শুনানি কোথায় হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সুষ্ঠু নির্দেশিকা হয়নি। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্দেশ এসেছে, প্রত্যেক বিধানসভায় ১৫ জন করে স্বাধীন পর্যবেক্ষক হবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। মানে বিজেপির দলের লোকেরা। এটা কখনও হয়েছে! আমার রাজ্যে ভোট করবে রাজ্যের লোকেরা, না বেরাজ্যের লোকেরা? গুজরাত, রাজস্থানের লোকেরা এসে ভোট করবে বাংলায়? শুনানি করবে? বাংলা বোঝে? সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। ইআরও-দের উপরে এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক রাখা হচ্ছে।”
মমতা বলেন, “বিএলও-রা অনেকেই সাঁওতালি, রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষা জানেন না। বিভিন্ন ভাষা আছে। ফলে বিএলও অ্যাপে অনেক ভোটারদের ম্যাপিংই করা হয়নি। ২০০২ সালে সিপিএম ছিল। মার্কামারা দল। একেবারে অনেকের নাম তখন বাদ দিয়ে দিয়েছিল। নবপ্রজন্ম থেকে শুরু করে যাঁরা তৃণমূল করত, বেশির ভাগের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল। আজ বুঝবে, কী ভুলটাই না করেছিল। মানুষ ক্ষমা করেনি, করবেও না। এখন আবার বিজেপির দালালি করছে।”
মমতার অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ, বিহারের যে বাসিন্দারা এখানে থাকেন, তাঁদের বলা হচ্ছে তাঁদের নাম কাটতে হবে। অন্যথায় সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “আপনারা যদি বিহারে ভোট না দেন, যদি আপনারা এখানে থাকেন, চাকরি করেন, পরিবার থাকে এখানে— আপনার সম্পত্তি নেওয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। এটা আপনাদের সম্পত্তির অধিকার। বাংলায় থাকতে চাইলে ভোটার তালিকায় নাম তুলুন। ওখানকার নাম কাটুন।”
কারও নাম না করে মমতা বলেন, “তিনি টোটালটা কন্ট্রোল করছেন। প্রধানমন্ত্রীও কন্ট্রোল করেন না। আমার সন্দেহ আছে। প্রধানমন্ত্রীকেও উনিই কন্ট্রোল করেন। দেশটাকে উনিই কন্ট্রোল করেন। দাঙ্গাকারীরা যদি দেশ চালায়, সেই দেশটার কী হতে পারে! দেখতেই পাচ্ছেন। মাথায় বুদ্ধি আছে! জাতির জনকের নাম বাদ দিয়ে কী করল! রাম নাম। রাম নামের প্রতি আমার কোনও আপত্তি নেই। ওটা তো একটা মহাকাব্য। কিন্তু আমি দেখেছি হিন্দিভাষীরা যখন মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যায়, তখন ওরা বলে, ‘রাম নাম সত্য হ্যায়।’ তো কী, গান্ধীজির নাম বাদ দিয়ে দেশটাকে ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’-এর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।”
মমতা বলেন, “বিএলও-দের বেশির ভাগ শিক্ষক। কিছু দিন বাদেই আবার মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। আমি শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকারের অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেক এলাকায় খবর রাখুন তো, কাকে কাকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কোন দফতরে কাজ করেন, কোথায় থাকেন। আমরা ডিটেলস চাই। আমি তাঁদের সহযোগিতা করব, কিন্তু আমার ডিটেলস চাই। এটা রাজ্যকে জিজ্ঞেস করে করেনি। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করে করছে। রাজ্যের আধিকারিকদের পর্যবেক্ষক করছে, রাজ্যকে না জানিয়ে। আবার মাইক্রো অবজার্ভার করছে। তারা দিল্লির লোক, বিজেপির দালাল। তারা রাজবংশী, কামতাপুরী, লেপচা, নেপালি কিছুই বোঝে না। তারা নাকি হিয়ারিং করবে।”
মমতা বলেন, “প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিজেপির অফিস থেকে যা বলে দেওয়া হচ্ছে, তা-ই চেঞ্জ করা হচ্ছে। আমি শুনেছি নির্বাচন কমিশনের অফিসের বিজেপির একটা এজেন্ট রেখে দিয়েছে। সে অনলাইনে যাঁর ইচ্ছে নাম বাতিল লিখছে। পুরো লিস্টটা করে দিচ্ছে বিজেপির পার্টির লোকেরা। এমন নির্লজ্জ কমিশন আমি জীবনে দেখিনি, দেখতেও চাই না।”
মমতা বলেন, “২০০২ সালকে ভিত্তি করে নাম, অংশ নম্বর, ক্রমিক সংখ্যা খোঁজার ক্ষেত্রে কোনও অ্যাপ নেই। ফলে বহু বৈধ ভোটারকে হয়রান হতে হচ্ছে। এপিক নম্বর দিয়ে খুঁজে বার করারও কোনও সঠিক পদ্ধতি এত দিন ছিল না। ক’টা লোক এপিক নম্বর খুঁজে বার করতে পারে! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ২০০২ সালের এপিক নম্বরের সঙ্গে বর্তমান এপিক নম্বরের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এটা কি ক্রিমিনাল অফেন্স নয়! অপরিকল্পিত, বেআইনি, অসংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক।”
মমতার অভিযোগ, “সর্বক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সির জন্য, অ্যাপের পরিবর্তনের ফলে সামগ্রিক ভাবে কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ২২-২৪ বার কমিশন নির্বাচন কমিশন নির্দেশ চেঞ্জ করছে। আপনারা কালপ্রিট। বিজেপি কালপ্রিট। বিজেপিকে জেতানোর জন্য, পরিবর্তন করতে গিয়ে দেশটাকে ভাসিয়ে দিচ্ছো। কয়েক জন বিজেপির বন্ডেড লেবার জুটেছে। বন্ডেড লেবারদেরও একটা সম্মান থাকে। তোমরা বন্ডেড লেবার নয়, তোমরা বন্ডেড ক্রীতদাস।”
মমতার সভা চলাকালীন হঠাৎই মাইক বিভ্রাট হয় নেতাজি ইন্ডোরে। তার জন্য স্বল্প সময়ের জন্য বিঘ্নিত হয় বক্তৃতা। তা নিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনেন তিনি। মমতা বলেন, “ইন্ডোরে যে মাইক ম্যানেরা কাজ করছেন, আমি কিন্তু বার বার দেখছি আপনারা প্রবলেম তৈরি করছেন। আমি আগের দিনও দেখে গিয়েছি। আজও দেখছি। এটি খুব খারাপ। এ বার কিন্তু আমি পদক্ষেপ করব বলে দিলাম। আমি আগের দিনও শিল্প বৈঠকে দেখে গিয়েছি, এই অভিযোগ এসেছে। টাকা নিয়ে আপনারা কাজ করেন। এটা আপনাদের প্রাপ্য। কিন্তু আপনি তো পরিষেবা দেবেন! আর পুলিশ কী করে! যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, কেন দেখেন না! দলেরও যাঁরা থাকেন, তাঁরাই বা কেন সাউন্ড চেক করবেন না? এটা অন্তর্ঘাত হচ্ছে না তো! প্রতিদিন এই মাইকে এই সমস্যা কেন হচ্ছে।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বললেন, “এ বার পিকনিক-টিকনিক হবে না। পিকনিক একেবারে ২০২৬ সালে জেতার পরে হবে।”
কমিশনকে বিঁধে মমতা বলেন, “ডিলিমিটেশনে ঠিকানা বদলেছে, বাতিল। বিয়ে হয়ে অন্য বাড়িতে গিয়েছে, বাতিল। বাংলা ও ইংরেজিতে নামের বানানে ফারাক রয়েছে, বাতিল। এই অধিকার কে দিল? এলাকায় এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিটিং-মিছিল চলবে। বিএলএ-১, বিএলএ-২ যাঁরা আছেন, তাঁদের ডিসটার্ব করা চলবে না।”
মমতা বলেন, “তখনকার বাবা-মায়েদের সার্টিফিকেট আপনি পাবেন কোথা থেকে! স্কুলে কতজন পড়াশোনা করতেন! কত জনের বাবা-মা, ঠাকুরদাদার সার্টিফিকেট আছে? আমার মায়ের জন্মকার্ড যদি চান, আমি দিতে পারব না। কারণ, আমার মা-বাবা বাড়িতে ডেলিভারিতে জন্মেছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দেখাতে পারবেন? ও সব তো লুকিয়ে ডুপ্লিকেট দেখাচ্ছে। এরা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। একটা ডুপ্লিকেট, ফেক (শংসাপত্র) বানাতে লাগে এক সেকেন্ড। কিন্তু আমরা তো ডুপ্লিকেট বানাব না। বড়দিন আসছে, আমরা কেক বানাব। সেই কেক খেয়ে তোমাদের (বিজেপিকে) হজম করব।”
মমতা বলেন, “ধরুন বাংলায় নাম হল একতা। ইংরেজিতে কেউ এ ব্যবহার করে, কেউ ই ব্যবহার করে। তুমি সেটা দেখেও নাম কেটে দিয়েছ! এর জন্য তো তাকে আত্মহত্যা করতে হল। এর দায় কার! নির্বাচন কমিশন ৪৬ জন লোকের প্রাণ নিয়েছো। বিএলও-দের দোষ নয়, দোষ তোমাদের। দায়িত্ব নিতে হবে।”
মমতা বলেন, “একজন ভোটার ২০০২ সালে কোনও ঠিকানায় ছিলেন। আজ সেই ঠিকানায় নেই। থাকবেন কী করে! তিনি তো অন্য ওয়ার্ডে চলে গিয়েছেন। বিয়ের পরে মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। কেউ পদবি পরিবর্তন করে, কেউ করে না। যারা পরিবর্তন করেছে, তাদের আপনারা বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। কোন কারণে! তারা বৈধ ভোটার। কেউ বাবা-মায়ের নাম লিখতে গিয়ে ‘এ’-র জায়গায় ‘ই’ লিখেছে। বাংলায় যেটা ‘আ’ হয়, ইংরেজিতে সেটা ‘ডবল এ’ হয়। একটা হকার, দোকানদার, একটা গরিব মানুষ, বস্তির মানুষ, একটা মহল্লার মানুষ, কলোনির মানুষ তোমার ইংরেজি বুঝবে কী ভাবে।”
মমতা বলেন, “২০০১ সালে ভোট হল। তার পরে শুরু হল এসআইআর-এর কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল ২০০৪ সালে। ওই সময় লোকসভা ভোট ছিল। আপনারা এর পরে ডিলিমিটেশন করেছিলেন। সেটা মাথায় আছে কি নেই! যখন ডিলিমিটেশন হল, একটা ভোটার আর একটা নির্বাচনী ক্ষেত্রে চলে গেল। মানে আগে ভবানীপুরটা ছিল আলিপুর। এখন হয়ে গিয়েছে ভবানীপুর। যুক্ত হল অন্য নতুন ওয়ার্ড। সব বিধানসভায় তাই হয়েছে। ম্যাপিংটাই তো ভুল। আপনাদের ম্যাপিং সম্পূর্ণ ভুল। এটি গ্রেট ব্লান্ডার। ২০০২ সালের পরে যে ডিলিমিটেশন হয়েছিল, সেটি কি বিবেচনায় রাখা হয়েছিল?”
বিজেপি এবং কমিশনকে বিঁধে মমতা বলেন, “কলকাতা জেলা আগে অন্যরকম ছিল। আগে ১০০টি ওয়ার্ড ছিল। এখন ১৪৪টি। ২০০৯ সালে ডিলিমিটেশন হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এক বারও কি ভেবেছেন? ভ্যানিশ কুমার বাবুরা… বিজেপির দালালেরা একবারও ভেবেছেন? বিএলও-দের নামে গালাগালি দেওয়ার আগে ট্রেনিং দিয়েছিলেন? পুরোটাই অপরিকল্পিত। বিজেপির কথায় বিজেপি কমিশন করেছেন। আমাকে আপনারা ক্যাঁচকলা করবেন। যত কেস করবেন, করবেন। চাইলে গলাটাও কেটে নিতে পারেন। কিন্তু আমি মানুষের কথা বলব। কাউকে না কাউকে তো মুখ খুলতে হবে। সবাই যদি ভয়ে গুটিয়ে যায়, তা হলে তো দেশটাই শেষ হয়ে যাবে। বাংলা না থাকলে, দেশটা থাকবে না। মাথায় রাখবেন।”
মমতা বলেন, “আরও দেড় কোটি নাম নাকি বাদ দিতে হবে। বিজেপির খোকাবাবুদের আবদার। হাত ঘোরালে নাড়ু পাব। নাড়ু নিয়ে ভোটে জিতব, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগাব। আর বাংলাকে দখল করব, বাংলাকে অপমান করব, বাংলার ইতিহাস ভুলিয়ে দেব। নানান রকম চালাকি। চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না।”
বিজেপিকে বিঁধে মমতা বলেন, “কর্মশ্রী আমাদের ছিল। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলছে বাংলাকে জব্দ করবে। এত সস্তা! বাংলাকে জব্দ করার আগে তোমাদের স্তব্ধ করব।”