Fraud Case

আইসিডিএসের চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! দুই অভিযুক্ত বিধাননগর পুলিশের জালে

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মুস্তাক আহমেদ মিলন এবং আব্দুস সাহিল মণ্ডল। অভিযোগ, আইসিডিএসের সুপারভাইজারের চাকরি দেওয়ার নামে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিপ্রার্থীকে প্রতারণা করেছেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৭
arrest

—প্রতীকী চিত্র।

আইসিডিএসে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ! বিধাননগরে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মুস্তাক আহমেদ মিলন এবং আব্দুস সাহিল মণ্ডল। অভিযোগ, আইসিডিএসের সুপারভাইজারের চাকরি দেওয়ার নামে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিপ্রার্থীকে প্রতারণা করেছেন তাঁরা। তদন্তে নেমে জলঙ্গি থেকে বিধানগর উত্তর থানার পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। ধৃত মুস্তাক ওরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। এক সময়ে তিনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন। যদিও শাসকদল তা স্বীকার করেনি।

বিধাননগর উত্তর থানার তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৮ অগস্ট আইসিডিএসের তরফে ভাস্কর ঘোষ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে অমিত বাসুলি, আশিস পুস্তি, মুস্তাক আহমেদ ওরফে মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নদিয়ার বাসিন্দা জনৈক রিপন মণ্ডলের কাছ থেকে তিনি একটি চিঠি পান। সেই চিঠিতে রিপন জানান, তাঁর স্ত্রী শবনম মুস্তারিকে আইসিডিএসের সুপারভাইজার পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ১০৩৪৭০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকাটা কয়েক দফায় এবং বিভিন্ন ইউপিআই আইডি-তে পাঠিয়েছেন তাঁরা।

রিপন পরে স্পিডপোস্ট এবং ইমেলে একটি জাল নিয়োগপত্রও পান। তাতে রাজারহাটে আইসিডিএসের সুপারভাইজার পদে যোগদানের কথা লেখা ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ৩১৯(২), ৩১৬(২), ৩১৮(৪), ৩৩৬(২), ৩৩৮ এবং ৩৪০(২) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে মিলন এবং তাঁর সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন