—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সোনার দোকানে ঢুকে বিভিন্ন অলঙ্কার দেখছিলেন মহিলা। আর পাঁচ জন ক্রেতার মতোই। ওই ভাবে পর পর কয়েক দিন দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। দোকানের মালিক বা কর্মী, কেউ বুঝতে পারেননি প্রতি দিন অল্প অল্প করে জিনিস সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ‘ক্রেতা।’ অবশেষে সন্দেহ হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছিলেন দোকানমামিক। তার ভিত্তিতে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে নদিয়া ধুবুলিয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধুবুলিয়ার গৌরনগর গ্রামে একটি গয়নার দোকান রয়েছে। দোকানমালিকের নাম গোপাল মণ্ডল। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর সন্দেহ হচ্ছিল, রুপোর জিনিসপত্র কমে যাচ্ছে। কী ভাবে কমছে, চোর কে হতে পারে, কিছুতেই বুঝে উঠে পারছিলেন না। গত বুধবার গয়নাগাটি মিলিয়ে দেখতে বসে গরমিল ধরেন তিনি। এর পর ধুবুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তদন্তে নেমে প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানে এক মহিলার আচরণে সন্দেহজনক বলে মনে হয় তাদের। দেখা যায়, দোকানে বার কয়েক গিয়েছেন ওই মহিলা। কিন্তু কোনও জিনিস কেনেননি। এটা ওটা দেখে দাম জিজ্ঞাসা করে বেরিয়ে গিয়েছেন। ওই মহিলাকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁর খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা।
শেষে পুলিশের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হয়। জানা যায়, রুপোর গয়না সরিয়েছেন ওই মহিলাই। পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলার নাম সুমি হালদার, বাড়ি ধুবুলিয়া এলাকায়। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশি জেরায় বলেছেন, ধুবুলিয়ার বাসিন্দা জনৈক অলকেশ দেবনাথকে ওই চুরির গয়না বিক্রি করেছেন। অলকেশকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে ৩০০ গ্রাম রুপোর গয়না উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে জানিয়েছে পুলিশ।