Blast in Kalyani

কল্যাণীর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে আইবি, সংগ্রহ করা হল নমুনা! কী মিলল প্রাথমিক তদন্তে?

বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ জানান, ঘটনাস্থলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। কোন ধরনের বিস্ফোরক সেখানে ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৬
IB team examine kalyani firecracker blast area

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আইবি বিশেষজ্ঞেরা। —নিজস্ব চিত্র।

কল্যাণীর বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনাস্থল শনিবার পরিদর্শন করলেন জেলা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের (আইবি) আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে ওই কারখানায় বাজি তৈরিতে কী ধরনের পদার্থ ব্যবহার হত। তবে প্রাথমিক তদন্তে তার কিছুটা আভাস মিলেছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, আতশবাজিতে এমন ধরনের বারুদ ব্যবহার হয় যাতে কোনও শব্দ না হয়। শুধু দৃষ্টিনন্দন করে। যেমন ফ্ল্যাশ পাউডার (সোরা চার ভাগ, গন্ধক এক ভাগ, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার এক ভাগ)। এ ছাড়াও নানা রঙের আলোর জন্য বিভিন্ন ধাতুর ব্যবহার করেন বাজি প্রস্তুতকারকেরা। আর ক্লোরিন ব্যবহার হয়। বিভিন্ন রঙের জন্য আলাদা দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। মনে করা হচ্ছে, কল্যাণীর কারখানায় আতশবাজিতে কিছু বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে। যা সাধারণত বাজি তৈরিতে ব্যবহার হয় না। তবে কী ধরনের বিস্ফোরক, তা চূড়ান্ত জানা যাবে ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই।

বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ জানান, ঘটনাস্থলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। কোন ধরনের বিস্ফোরক সেখানে ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। সেই বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। কী ভাবে সকলের অজান্তে ওই এলাকায় ‘অবৈধ’ কারখানা গড়ে উঠেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। পরে জানা যায় বিস্ফোরণের উৎসস্থল স্থানীয় বাজি কারখানা, যার মালিক খোকন বিশ্বাস। বিস্ফোরণে তিনিও জখম হন। সেই অবস্থাতেই এলাকা ছেড়ে পালান তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

Advertisement
আরও পড়ুন