MAKAUT Student Death

পরীক্ষা দিয়ে পাঁচতলা থেকে মরণঝাঁপ ম্যাকাউটের এমটেক ছাত্রীর! হেনস্থার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

কিছু দিন আগে ম্যাকাউটের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ (ফলিত মনস্তত্ত্ববিদ্যা) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার ক্লাসের মধ্যে মালাবদল এবং সিঁদুরদান নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৩
MAKAUT

ছাত্রীর মৃত্যুর পর বিক্ষোভ ম্যাকাউট ক্যাম্পাসে। —নিজস্ব চিত্র।

দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন এমটেকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)-এ। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা চলাকালীন হেনস্থা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সেই অপমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ছাত্র এবং অধ্যাপিকার ‘বিয়ে-কাণ্ড’ নিয়ে হুলস্থুলের পর আবার বিতর্কে হরিণঘাটার ওই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম সায়নী সেন। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। তাঁর দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। সোমবার একটি বিষয়ের পরীক্ষা দেন তিনি। জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা চলাকালীন এক শিক্ষক তাঁকে ‘হেনস্থা’ করেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন সায়নী। সহপাঠী এবং অন্যান্য পড়ুয়ার অভিযোগ, এক শিক্ষকের ব্যবহারে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন সায়নী। এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোরগোল শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ম্যাকাউটের পড়ুয়াদের একাংশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইতিমধ্যে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতার সহপাঠীদের। পুলিশ কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’র পরে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি মেলেনি। তবে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘এক ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার খবর পেয়ে ম্যাকাউট ক্যাম্পাসে গিয়েছিল পুলিশ। দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক ভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। এখনই এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’

কিছু দিন আগে ম্যাকাউটের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ (ফলিত মনস্তত্ত্ববিদ্যা) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার ক্লাসের মধ্যে মালাবদল এবং সিঁদুরদান নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিতর্কের মুখে ওই অধ্যাপিকা ইস্তফা দিয়েছেন। সেই বিতর্কের রেশ মিটতে না মিটতেই ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল ম্যাকাউটে।

Advertisement
আরও পড়ুন