— প্রতীকী চিত্র।
কাকা সদ্যপ্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক। নিজে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। রাজ্যের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর পরে ২০২৬ সালের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সেই তৃণমূল নেতা মেহবুব হোসেনের নাম। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মেহবুবের অভিযোগ, তিনি তৃণমূল করেন বলে ষড়যন্ত্র করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। উল্টো দিকে বিজেপি বলছে, ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে।
মেহবুব ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ভাইপো। তাঁর দাবি, কয়েক পুরুষ ধরে তাঁরা রয়েছেন বর্তমান ঠিকানায়। গোটা ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় বিডিওর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি নেতার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও শঙ্খদীপ দাস।
মেহেবুব বলেন, ‘‘বিএলও-র উপরে চাপ তৈরি করে আমার নাম বাদ দিতে বাধ্য করেছেন ডোমকলের বিডিও। ১২ ডিসেম্বর দু’জন আধিকারিক মিলে এই ষড়যন্ত্র করেছেন।’’ তার আরও প্রশ্ন, ‘‘যদি নাম না থাকে, তবে ভোটে দাঁড়ালাম কী ভাবে? তৃণমূল করি বলেই বেছে বেছে নামটা বাদ দেওয়া হল।’’ মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘ওঁদের পূর্বপুরুষের নাম রয়েছে তালিকায়। শুনেছি, এক জন প্রশাসনিক আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ না-মেনে ন্যায্য ভোটারের নাম পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে বাদ দিয়েছেন। আমরা যথাযথ জায়গায় অভিযোগ জানাব।’’ বিজেপি নেতা গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। নাম বাদ গেলে , নাম সংযোজনের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিও শঙ্খদীপ বলেন, ‘‘তিনি কেন এমন অভিযোগ করছেন, বলতে পারব না। নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছিল, সেটা পদ্ধতি মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উনি না জেনে এ সব কথা বলছেন।’’