Beldanga Triple Death Case

করাত দিয়ে স্ত্রী ও পুত্রের গলা কেটে আত্মহত্যা যুবকের! খোলা জানলায় চোখ যেতেই আর্তনাদ বয়স্ক গৃহকর্ত্রীর

সকালে স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের অনুমান, করাত দিয়ে স্ত্রী-পুত্রের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৮
Beldanga Triple Death Case

ছেলের ঘরের জানলায় চোখ যেতেই আঁতকে ওঠেন বৃদ্ধা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম (এআই প্রণীত)।

স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। বুধবার সকাল থেকে এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সঞ্জীব হালদার (৪০), মৌসুমি হালদার (২৮) এবং রায়ান হালদার (৯)।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, করাত দিয়ে স্ত্রী এবং পুত্রের গলা কেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পেশায় ডেকরেটর্স ব্যবসায়ী। প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। শোয়ার ঘরে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয় বুধবার সকালে।

সকালে স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের অনুমান, করাত দিয়ে স্ত্রী-পুত্রের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। সকালে সঞ্জীবের মা শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। ছেলে-বৌমার ঘরের জানলা খোলা ছিল। সেখানে চোখ পড়তেই চমকে যান প্রৌঢ়া। তিনি দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন ছেলে। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন শুধুই সঞ্জীবই নন, তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। গোটা ঘরে রক্তের দাগ। সঙ্গে সঙ্গে বেলডাঙা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

দাম্পত্য কলহ ছাড়া তিন মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সঞ্জীবের মায়ের দাবি, বৌমার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে এই মামলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে তারা।

Advertisement
আরও পড়ুন