Khagen Murmu And Shankar Ghosh Attacked

হাতের লিগামেন্টে চোট শঙ্করের, ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে, কথা বলা বারণ খগেনের, খানিক শারীরিক উন্নতি হলে অস্ত্রোপচার

গত সোমবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধি খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৬
Nagrakata Incident

(উপরে) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শঙ্কর ঘোষ। (নীচে) খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

দু’দিন হাসপাতালে থাকার পর বুধবার ছাড়া পেলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর ডান হাতের লিগামেন্টে আঘাত রয়েছে। এখন ওষুধপত্র খেতে হবে। অন্য দিকে, জখম মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে রক্তে শর্করা বেশি রয়েছে ডায়াবিটিস রোগী খগেনের। এ জন্য এখনই অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে না বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

Advertisement

গত সোমবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধি খগেন এবং শঙ্কর। তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে বেশি জখম হন প্রবীণ সাংসদ খগেন। তাঁর বাঁ চোখের নীচের হাড়ে আঘাত লাগে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে খগেনকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সাংসদের চোট গুরুতর নয়। কানের পাশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তবে মধুমেহ আছে বলে বিশেষ পর্যবেক্ষণে থাকতে হচ্ছে বিজেপি সাংসদকে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাতে শঙ্কর দাবি করেন, তাঁকেও দেখতে যেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি অনুমতি দেননি।

বুধবার সকালে মাটিগাড়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শঙ্কর জানিয়েছেন, ডান হাতের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। তবে আগের চেয়ে ভাল আছেন। তিনি বলেন, ‘‘ব্যথা রয়েছে। আপাতত বাড়ি ফিরছি। কিন্তু ওই ঘটনা পরিকল্পিত ছিল।’’ বিজেপি বিধায়কের সংযোজন, ‘‘ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। সেই সময় কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করেই ওই লোকেরা এসে (শঙ্করের দাবি, ‘দিদি-দিদি’ বলে তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন) এই রকমের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে । তবে লড়ে যাব। বেঁচে যখন ফিরেছি, লড়ব। পুলিশকে বলার পরেও তারা কোনও প্রকার সহযোগিতা করেনি।’’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, খগেনের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি। তাঁকে বেশি কথাবার্তা বলতে বারণ করা হয়েছে। শারীরিক পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হলে অস্ত্রোপচার করা হবে।

বুধবারই বিধায়ক ও সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘খগেন মুর্মুর হাইপার টেনশান, ডায়াবেটিস রয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওঁর ফেশিয়াল বোন ভাঙা। ন্যূনতম ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে৷’’ দলের দুই জনপ্রতিনিধির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক আক্রমণ। দিদির সৈনিকেরা মেরেছে। হয় পুলিশ তাদের অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করবে, নয়তো প্রত্যকের ছবি-সহ বড় বড় পোস্টার লাগাব শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে।’’ তাঁর হুঙ্কার, ‘‘পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বিজেপির মতো করে ‘ট্রিটমেন্ট’ করবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন