Khagen Murmu Injured

‘চোখে ভাল দেখতে পাচ্ছি না, কথা বলাও বারণ’! চিকিৎসা করাতে দিল্লি গেলেন ‘প্রহৃত’ বিজেপি সাংসদ খগেন

দুপুর ৩টে নাগাদ আগরতলা-দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা দিয়েছেন মুর্মু দম্পতি। সাংসদের স্ত্রী বলেন, ‘‘এখনও বিচার পাইনি। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৪৮
Khagen Murmu Injured

(বাঁ দিকে) গত ৬ অক্টোবর হামলার দিন খগেন মুর্মু। (ডান দিকে) ২৮ অক্টোবর দিল্লির পথে খগেন মুর্মু। —নিজস্ব চিত্র।

একমুখ দাড়ি। পরনে গোলাপি পাঞ্জাবি এবং সাদা পাজামা। হুইলচেয়ারে বসা মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘিরে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং দলের নেতারা। চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

অসুস্থ সাংসদ জানান, চোখে তিনি ভাল করে দেখতে পাচ্ছেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শে কথা কম বলছেন। সাংসদের পত্নী মঞ্জু মুর্মু স্বামীর শারীরিক পরিস্থিতির জন্য শাসকদল আশ্রিত গুন্ডাদের দায়ী করে জানান, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করবেন।

দুপুর ৩টে নাগাদ আগরতলা-দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা দিয়েছেন মুর্মু দম্পতি। মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছে খগেন বলেন,‘‘কথা বললে কষ্ট হচ্ছে। এখনও তরল খাবার খেতে হচ্ছে। চোখেও ভাল দেখতে পাচ্ছি না। তাই দিল্লির এমসে যাব।’’ পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ওই ঘটনার বিচার পাইনি। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যে আক্রমণ তৃণমূলের গুন্ডারা করেছে, তার বিচার চাইব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চোখে আবছা দেখছে ও (স্বামী)। আটটা দাঁত নড়েছে। ভেঙেওছে।’’

গত ৬ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ খগেন এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, লাঠি, জুতো নিয়ে বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর চড়াও হন কয়েকশো লোক। এমনকি, নদীর ধার থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে মুখে আঘাত পান খগেন। তাঁর বাঁ চোখের নীচ থেকে রক্ত ঝরে। ধাক্কাধাক্কি করা হয় শঙ্করকেও। তাঁরও হাতে চোট লাগে। দু’জনকেই পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে খগেনকে দেখতে যান। ঘটনাক্রমে খগেনদের উপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তবে ‘আক্রমণের দিন’ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে।

Advertisement
আরও পড়ুন