Kaliagunj

‘ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছিস কেন?’ প্রশ্ন করায় বাবাকে লাঠি ছুড়ে মারেন ছেলে! হাসপাতালে মৃত্যু কালিয়াগঞ্জের প্রৌঢ়ের

ছোট ছেলে শুভঙ্করের সঙ্গে অশান্তি হয় নির্মলের। সেই সময়ই আচমকা বাবার দিকে একটি লাঠি ছুড়ে মারেন শুভঙ্কর। লাঠির ঘা থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নির্মল। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৫
: North Dinajpur resident dies after being beaten by his son

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা। সেই ঝামেলার মাঝেই বাবাকে লক্ষ্য করে লাঠি ছুড়ে মারেন ছোট ছেলে। তার পরেই জ্ঞান হারান ওই প্রৌঢ়। দু’দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর গ্রামে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িডাঙ্গি এলাকায় স্ত্রী এবং দুই পুত্রের সঙ্গে থাকতেন নির্মল রায়। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে ছোট ছেলে শুভঙ্করের সঙ্গে অশান্তি হয় নির্মলের। সেই সময়ই আচমকা বাবার দিকে একটি লাঠি ছুড়ে মারেন শুভঙ্কর। লাঠির ঘা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নির্মল। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান তিনি।

ওই অবস্থায় নির্মলকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় রায়গঞ্জ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে মালদহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মৃত্যু হয় নির্মলের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গ্রামে। শুভঙ্করকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে মৃতের স্ত্রী মায়া রায় এবং পুত্র শুভঙ্করকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না মৃতের বড় ছেলে ভাস্কর রায়। কাজের সূত্রে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই মায়ের থেকে বাবার অসুস্থতার খবর জানতে পারেন। খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে আসেন ভাস্কর। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে বাবা এবং ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়, সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল। তাতেই গোটা ঘটনাটা দেখি।’’ মৃতের ভাই শ্যামল অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন