SIR in West Bengal

বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রকে বাদ দেওয়া হোক এসআইআর নথি থেকে! মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে

গত বছর ২২ মে হাই কোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ওই সব সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৩
এসআইআরের নথি থেকে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রকে বাদ দেওয়ার আর্জি হাই কোর্টে।

এসআইআরের নথি থেকে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রকে বাদ দেওয়ার আর্জি হাই কোর্টে। — ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর নথি থেকে বাদ দেওয়া হোক বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র। এই আর্জিতে এ বার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। বুধবার ওই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণ রাও। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

মামলাকারী পক্ষের হয়ে আইনজীবী অরিজিৎ বক্সীর বক্তব্য, গত বছর ২২ মে হাই কোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ওই সব সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। তাই এসআইআরের নথিতেও সেগুলির যাতে ব্যবহার না-করা হয়, তা নিশ্চিত করা হোক। বস্তুত, রাজ্যে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বার শুরু হবে শুনানি এবং নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। শুনানি পর্বে প্রামাণ্য নথি হিসাবে কমিশন ১৩টি নথির কথা উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসি শংসাপত্রও। এ অবস্থায় বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রের ব্যবহার বন্ধের আর্জিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি শিবির।

২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টে ২০১০ সালের পরে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। তার পর নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সেই মতো হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্য একটি সমীক্ষা করে ওবিসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। তা নিয়েও পরে মামলা হয় হাই কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায় সেই মামলার জল। তবে রাজ্যের নতুন করে ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন