সিপিএমের ছাত্র-যুবদের পুলিশ সুপারের দফতর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কৃষ্ণনগরে। —প্রতীকী চিত্র।
ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বোমায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না খাতুনের নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে সিপিএমের ছাত্র-যুবদের পুলিশ সুপারের দফতর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কৃষ্ণনগরে। বামেদের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে দশ জন জখম হয়েছেন। চার পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে দাবি। পুলিশের দাবি, কর্মসূচির জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে মোলান্দি গ্রামের তামান্না নিহত হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর মা সাবিনা খাতুন ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি-সহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও, এখনও অধরা ১৪ জন। অভিযোগে নাম থাকা সবাইকে গ্রেফতার, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, দুষ্কৃতী-রাজ বন্ধের দাবিতে এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের নদিয়া জেলা কমিটি মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপারের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছিল।
বাম ছাত্র-যুবরা মিছিল করে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে দ্বিতীয় ব্যারিকেডের দিকে এগোতে গেলে দু’পক্ষে ধস্তাধস্তি বাধে। পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে এসএফআইয়ের নদিয়া জেলা সম্পাদক ও দুই যুবনেত্রী-সহ দশ জন জখম হয়েছেন, কয়েক জনের মাথাও ফেটেছে বলে বামেদের দাবি। মিছিলে ছিলেন এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ অন্যেরা। ধ্রুবজ্যোতির অভিযোগ, “গ্রামে গ্রামে যাঁরা সন্ত্রাস তৈরি করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করতে পারে না অপদার্থ পুলিশ। তামান্না-খুনে বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা না-হলে রাজ্যের সব পুলিশ সুপারের অফিস অভিযান করব আমরা।” কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেছেন, “এ দিনের কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি, তবু আমরা তা করতে দিয়েছি।”
ডিওয়াইএফআই জানিয়েছে, আগামী ২৮ জুলাই তামান্নার জন্মদিনের আগের দিন রাজ্য জুড়ে ছবি আঁকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জন্মদিনে গোটা রাজ্যে সেই ছবি প্রদর্শন করা হবে। বামেদের ওই কর্মসূচির আগে এ দিন পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছেন তামান্নার মা-বাবা। পরে তমান্নার মা সাবিনা বলেছেন, “পুলিশ সুপারকে সব কথা বলেছি। তিনি সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।”