Ritabrata Banerjee in Rajya Sabha

বাংলা-বাঙালির ভাষ্য আরও তীব্র করল তৃণমূল, ১ বৈশাখ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হোক! রাজ্যসভায় দাবি ঋতব্রতের

রাজ্য সরকার শুধু ১ বৈশাখকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবেই চিহ্নিত করেনি, রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটি যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে এখন গাওয়া বাধ্যতামূলক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৮
Ritabrata Banerjee demanded that 1 Baishakh be recognized as the foundation day of West Bengal

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গত ২০২৩ সালে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়ে ১ বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের মর্যাদার দাবিতে সোমবার রাজ্যসভার শূন্যপ্রহরে দাবি উত্থাপন করলেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাংলা ও বাঙালির যে ভাষ্যে রাজনীতি জারি রেখেছে, সংসদে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসের স্বীকৃতির দাবি তুলে, তাকেই আরও গতি দিলেন ঋতব্রত।

Advertisement

সোমবার সংসদের উচ্চকক্ষে ঋতব্রত বলেন, ‘‘১ বৈশাখের সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।’’ পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীনম ইচিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি উল্লেখ করেন, এশিয়ার প্রথম কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ সবই কলকাতায়। এরই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে দেন বাংলাভাষাকে অপমানের অভিযোগও। তিনি বিজেপির নাম উল্লেখ না-করলেও দেখা যায় ঋতব্রত বলার সময়ে হট্টগোল করছেন কেন্দ্রের শাসকদলের সাংসদেরা। তৃণমূল সাংসদ যখন রামমোহন রায়কে অপমানের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন সেই হট্টগোল আরও বেড়ে যায়। যদিও তৃণমূল সাংসদ বক্তৃতা থামাননি। বরং তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ইউরোপের বাইরে একমাত্র নবজাগরণ হয়েছিল অবিভক্ত বাংলাতেই।

রাজ্য সরকার শুধু ১ বৈশাখকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবেই চিহ্নিত করেনি, রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটি যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে এখন গাওয়া বাধ্যতামূলক। সন্দেহাতীত ভাবে, তৃণমূলের রাজনৈতিক আখ্যানের ধারাবাহিকতাতেই এ হেন পদক্ষেপ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলা-বাঙালি ‘লাইনেই’ ভোটে লড়েছিল তৃণমূল। সেই ধারা অব্যাহত ছিল ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও। কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা ভোটে যে সেই ধারায় ছেদ পড়বে না, তা প্রচারের আঙ্গিকে বোঝা যাচ্ছিল। রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশনে শূন্যপ্রহরে ১ বৈশাখের প্রসঙ্গ তুলে তা আরও স্পষ্ট করে দিলেন ঋতব্রত।

Advertisement
আরও পড়ুন